নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সদস্য শেখ আব্দুল নাইম। কোনও আইনজীবী ছাড়া নিজেই মামলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নইম। দিল্লির তিহার জেল থেকে কড়া নিরাপত্তায় আনা হল শহরে। মানববোমা তৈরি ও মগজধোলাইয়ের লক্ষ্যে পাকিস্তান থেকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল নাইম নামে এই লস্কর জঙ্গি। একা নাইম নয়, সঙ্গে ছিল আরও ৪ জন।
২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরনোর সময়ে বনগাঁয় গ্রেফতার করা হয় প্রত্যেককে। একাধিক অভিযোগের খাঁড়া ঝুলছিল নাইমের ঘাড়ে। তদন্তকারীদের দাবি, নাইম ও সঙ্গীরা জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। এরপর বিচারাধীন অবস্থাতেই পালিয়ে যান নাইম। দিল্লিতে ধরার পড়ার পর থেকে তিহার জেলে বন্দি সে। তার বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা চলছে।
২০১৮ সালে শেখ আব্দুল নাইমকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বনগাঁ আদালত। তবে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন না দিলে তা কার্যকর হয় না। এবার হাইকোর্টে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছে সাজাপ্রাপ্ত এই আসামী। মঙ্গলবার কোর্টে দাঁড়িয়ে সে জানায়, সে বাঁচতে চায়। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। নাইমের এই আবেদনে সাড়া দিয়েছে হাইকোর্ট। শুনানি চলাকালীন কলকাতাতেই রাখা হবে নাইমকে। সংশোধনাগার থেকে সশরীরের সওয়াল করবে সে। তিনি কোন জেলে থাকবেন, তা ঠিক করবেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি। আগামী ১৭ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।