স্যার গুরুদাস কলেজের ফেস্ট উপলক্ষে নজরুল মঞ্চে গাইতে এসে অকালে মারা গিয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে। এই আকস্মিক মৃত্যুর কারণ হিসেবে মিসম্যানেজমেন্টকেই দায়ী করা হচ্ছে। দুহাজারি অডিটোরিয়ামে সাতহাজার লোক ঢোকানো হয়েছিল, বন্ধ ছিল এসি, কেকে বারংবার বললেও নেভানো হয়নি আলো। এমনকি ক্রাউড কন্ট্রোলে স্প্রে করা হয় ফায়ার এক্সটিনগুইশার। আর সেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই এবার কলেজ ফেস্ট নিয়ে লালবাজারের তরফে জারি করা হল নিদেশিকা।
কি কি নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার?
•কলেজ ফেস্ট করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুষ্ঠানের বিষয়ে আগাম বিস্তারিত জানাতে হবে কলকাতা পুলিশকে।
•নিশ্চিত করতে হবে যাতে, কোনওভাবেই অডিটোরিয়ামের আসন সংখ্যার থেকে পাসের সংখ্যা বেশি না হয়। একটি পাসে একজনই ঢুকতে পারবেন।
•অনুষ্ঠানস্থলে রাখতে হবে অ্যাম্বুল্যান্স।
•রাখতে হবে পর্যাপ্ত সংখ্যায় নিরাপত্তারক্ষী।
উপরিউক্ত নিয়মগুলো মানলে আগামীতে তবেই আয়োজন করা যাবে কলেজ ফেস্ট। যদিও নজরুল মঞ্চে ঘটনার পরেই কেএমডিএ’র সিইকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। এর পাশাপাশি নজরুল মঞ্চে আপাতত কলেজের ফেস্ট বাতিল করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রোগ্রাম শেষে গাড়িতে করে ওবেরয় গ্র্যান্ড হোটেলে ফেরার পথে কেকে জানিয়েছিলেন শীত করছে তাঁর। সম্ভবত মাংশপেশীতে খিঁচুনিও ধরেছিল। হোটেলে ফিরে সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান, চোট লাগে কপালে। সেখান থেকে CMRI হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত(ব্রড ডেথ) ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কেকে-র কপাল ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এসএসকেএমে দেহের ময়নাতদন্ত হয়।