করোনা (Corona) সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের বুকে আছড়ে পড়ার পর থেকে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ শিবির (Vaccination Campaign)। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে প্রথম টিকা গ্রহণকারীদের সংখ্যা ২ কোটির গণ্ডি স্পর্শ করেছে। গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯ টা পর্যন্ত কো-উইন পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত নথি অনুযায়ী, রাজ্যে টিকা নেওয়ার বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। তারমধ্যে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৫৮২ জন প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন। শতকরা হিসেবে ৩৪.৯৬ শতাংশ। এই প্রথম ডোজ টিকাপ্রাপকদের মধ্যে ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮৫ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। এখনও বাকি দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের সংখ্যা ৫১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৭ জন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "প্রথম ডোজ টিকা প্রাপকদের মধ্যে শতাংশের হিসেবে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। আর সাত লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়ে নিলে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া মানুষের সংখ্যা ১ কোটির গণ্ডি স্পর্শ করবে। জোগান ঠিক থাকলে, রাজ্যের দৈনিক চার লক্ষ টিকা প্রদানের পরিকাঠামো রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।"
এরমাঝেই করোনার টিকার প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দিনক্ষণ বেঁধে দিল কলকাতা পুরসভা। সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউ আসার আগে প্রত্যেকের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ। তাই সপ্তাহে একদিন অন্তর একদিন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ চলবে কলকাতার ২০৪ টি কেন্দ্রে। সোম, বুধ ও শুক্রবার শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে পুরসভার সেন্টারগুলিতে। কোভিশিল্ড ও কো-ভ্যাক্সিন, দুই ভ্যাকসিন একই নিয়মে একদিন অন্তর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারত সামলে উঠতে পারলেও দেশে অব্যাহত রয়েছে সংক্রমণ গ্রাফের ওঠানামা। একদিন সংক্রমনের নিম্নমুখী গতি দেখা গেলেও তার পরদিন হয়তো এক লাফে অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। দেশে শেষ ২৪ ঘন্টায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৬৭ জন ও প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৮ জন। দৈনিক সংক্রমণ কমলেও সক্রিয় করোনা কেস বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৪৩ জন।