গতবছরের শুরু থেকেই গোটা বিশ্বের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। কিছুদিন আগে কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমনের হার কিছুটা কমতে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিল রাজ্যবাসী। কিন্তু আবারও পুজোর পর চোখরাঙানি দেখাচ্ছে এই অতিমারীর। দূর্গাপুজোর পর থেকে হু হু করে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার। দুর্গাপুজোর পর চলতি মাসের শুরুতেই রয়েছে কালীপুজো। এই উৎসবের মরসুমে এখন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা বাংলার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কিছু অঞ্চলে পুলিশ নজরদারি শুরু করেছে এবং মাস্ক না পরলেই জরিমানা করছে। তার পাশাপাশি নভেম্বর মাসের প্রথম দিনই কলকাতা বিমানবন্দর তরফে কোভিড বিধি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। আপনি যদি বিমানে করে যাতায়াত করেন তাহলে অবশ্যই এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
আজ অর্থাৎ ১ লা নভেম্বর, সোমবার কলকাতা বিমানবন্দর করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম জারি করেছে। সেই অনুযায়ী আজ থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে গেলে অবশ্যই করোনা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। দুটি ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে কোনোরকম সমস্যা হবে না। আর এখনও অব্দি যাদের দুটি ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি, তাদের আরটি পিসিয়ার রিপোর্ট দেখাতে হবে। প্রসঙ্গত, সেই রিপোর্ট অবশ্যই বিমানযাত্রার ৭২ ঘন্টার মধ্যে হতে হবে। এছাড়া নবান্ন তরফে জানানো হয়েছিল কিছু জায়গা থেকে সপ্তাহে তিনবার বিমান যাত্রা হবে। সেই তালিকায় রয়েছে পুনে, নাগপুর এবং আমেদাবাদের মত শহর। এই তিনটি জায়গা থেকে সপ্তাহে তিনবার বিমান যাতায়াত করতে পারবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বিমান পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। তারপর জুলাই মাসে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তারপর করোনার সংক্রমণ আরেকটু নিয়ন্ত্রণে আসতে আগস্ট মাসে ৭২.৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বিমান পরিষেবা চালু ছিল। পুজোর আগে সম্পূর্ণ খুলে দেওয়া হয় বিমান পরিষেবা। তবে সম্প্রতি আবারও সংক্রমণ বাড়ায় উল্লিখিত নিয়ম শক্তভাবে পালন করবে কলকাতা বিমানবন্দর। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিকে করোনা বিধি মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।