দিল্লি সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন তিনি।গতকাল কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। তাঁদের মধ্যে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে টুইটেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। এবং আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন নবান্নে 'কৃষকবন্ধু' প্রকল্পের উদ্বোধনের পরেই নাম না করে রাজ্যপালকে খোঁচা দেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাচ্চা ছেলে তো নয় যে বকাঝকা করে চুপ করিয়ে দেব। কার সঙ্গে দেখা করবেন ওনার ব্যাপার। উনি তো ওদেরই লোক।"
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার টুইট করেছেন রাজ্যপাল। দিনকয়েক আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়কেরাও। পরের দিনই দিল্লি যান রাজ্যপাল। এ বিষয় নিয়ে বারংবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাজ্যপাল। এমনকি এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে কমপক্ষে তিনবার চিঠি লিখেছেন বলেই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সে ব্যাপারে কেন্দ্র কান দেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর।
এবার এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপনারা তো সাংবাদিক। আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন? কারও চোখে যদি ন্যাবা হয় আমি কী করব! বাংলায় হারার পর লজ্জা নেই বিজেপির। এটাই বিজেপির অভ্যাস। সবটাই পূর্বপরিকল্পিত। নির্বাচনের সময় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। আমি হিংসাকে সমর্থন করি না। প্রশাসন–পুলিশকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিই। হিংসার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। কোনও রাজনৈতিক হিংসাই নেই। এটা বিজেপির গিমিক হিংসা। সবাই যখন বলে আমার কী বলার দরকার! একটা বাচ্চা হলে বোকে চুপ করানো যায়। নীরবতাই শ্রেয়।"