বেজে গেছে ভোটের দামামা। ক্ষণে ক্ষণেই অশান্ত হয়ে উঠছে বাংলার নানা প্রান্ত। রাজনৈতিক দলগুলির নিত্যদিনের নানান কর্মসূচি-সভা-মিছিল ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হচ্ছে এলাকা, বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ জনজীবন। তাই এবার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার নির্দেশে কলকাতার সমস্ত বড় ও ছোট রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত থাকবে পুলিশ। লালবাজার থেকে সবসময় পুলিশবাহিনী পাঠানো সম্ভব হয়না, তাই সংঘর্ষ এড়াতে স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীদের অবশ্যই হাজির থাকতে হবে যেকোনো পাড়া বা অলি-গলির রাজনৈতিক সমাবেশেও। ধৃত দুষ্কৃতীদের তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হবে এবং বাড়িতে না পাওয়া গেলে পলাতক ঘোষণা করে সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বাইক চুরি, বেআইনি অস্ত্র, মদ ইত্যাদির ব্যাপারেও বিশেষ নজরদারি চলবে।
একইসাথে জননিরাপত্তার জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে। অনেকসময় বহুদিন তল্লাশি চালিয়েও অনেক নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির আর খোঁজ পাওয়া যায়না, তাই এবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে হাত মিলিয়ে এই কাজে ব্রতী হতে 'সন্ধান' প্রকল্প চালু হল। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি রুখতে চালু হল 'ওটিপি রক্ষাকবচ' প্রকল্প। লিফলেট বিতরণ করে সতর্ক করা হচ্ছে নগরবাসীকে।সাইবার ক্রাইম থেকে মহিলাদের সুরক্ষিত রাখতে চালু হয়েছে 'সাইবার হেল্প ডেস্ক ফর উইমেন' প্রকল্প। এদিন টালিগঞ্জের পুরোনো থানায় 'প্রণাম' প্রকল্পের অফিস উদ্বোধন করেন অনুজ শর্মা।