চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু থেকেই করোনার মিউট্যান্ট স্ট্রেন ব্যাপক পরিমাণে সংক্রামিত হচ্ছে। বাংলায় প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। একাধিক সরকারি হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। এমনই অবস্থা সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে। সেখানে বেড নেই জেনেও রোগীর পরিবার আসছে। করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষ রীতিমতো কুকুর-বিড়ালের মত হাসপাতাল চত্বরে যেকোনো জায়গায় শুয়ে আছে। এই দৃশ্য যে হৃদয়বিদারক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু অতিরিক্ত এই রোগীর ভীড়ে এবার সংক্রমণ চিকিৎসকদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে হাসপাতালের মোট ৯৩ জন করোনা আক্রান্ত। এমনকি করোনা হয়েছে খোদ হাসপাতালে সুপার চিকিৎসক সুজয় মিস্ত্রির।
সাগর দত্ত কলেজ অফ মেডিসিন এন্ড হাসপাতালে ২৮০ বেডে করোনা রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হয়। তবে এখন কোন বেড খালি নেই। কিন্তু গত বছর এই হসপিটালে করোনার ভালো চিকিৎসা হওয়াই এলাকার মানুষ এখানেই ছুটে যাচ্ছে। এমনকি হাসপাতালে সম্প্রতি ১০ বেডের অক্সিজেন পার্লার চালু করা হয়েছে এবং নতুন করে আরও ৫০ হাই ডিপেন্ডেন্সি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশেপাশে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ইত্যাদি জায়গায় করোনার চিকিৎসা হলেও এখানকার বাসিন্দারা ভিড় করছে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে। এই বিষয়ে হাসপাতালের এক ডাক্তার জানিয়েছেন, "প্রতিদিন শতাধিক মানুষ করোনা নিয়ে হাসপাতালে এলে যা হয়। বেড তো ভর্তি। জরুরী বিভাগে বারান্দা উপছে পড়ছে।"