গুঞ্জনেই শিলমোহর। গতকাল থেকেই আভাস মিলেছিল পুজোর ক'দিন বাড়তি ছাড় মিলবে মেট্রোয়। এমনিতেও পুজোর মরশুমে ভিড় এড়াতে আগেই মেট্রোর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছিল কর্তৃপক্ষ। এবার পুজোয় মিলল বাড়তি উপহার। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে রাজ্য। ১০-২০ অক্টোবর রাত্রিকালীন কার্ফু তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে পুজোয় মাঝরাত পর্যন্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নিল, মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এর সঙ্গেই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে বাড়ছে মেট্রো সংখ্যা। তবে পুজোর সময়ও টোকেন ইস্যু করা হবে না বলেই, সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
সাধারণত পুজোর তিনদিনই রাতভর চলত মেট্রো। ব্যতিক্রম ২০২০। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এইবার রাত্রিকালীন পরিষেবা চালু করেছে পরিবহণ দপ্তর। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী অর্থাৎ ১২, ১৩, ১৪ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা অবধি চলবে মেট্রো। প্রথম ও শেষ মেট্রো ছাড়বে যথাক্রমে সকাল ১০ টা ও রাত ১১টায়। সূত্রের খবর, সন্ধেবেলা ৬ মিনিট অন্তর চলবে মেট্রো।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
দশমীর দিন অবশ্য মাঝরাত অবধি গড়াবে না মেট্রোর চাকা। ওইদিন পরিষেবা শুরু হবে সকাল ১০টায় এবার শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত সাড়ে ন’টায়। দিনভর ১০ মিনিট অন্তর ছুটবে মেট্রো। কলকাতা মেট্রো সূত্রে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য বছরের মতো সারারাত পরিষেবা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে মাঝরাত পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যাত্রীদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা করছে মেট্রো। ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকছে বাড়তি বাহিনী। গেটের বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকে বুধবারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৩৩ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৭৮ জনের।
দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৩৮ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৮১। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৮৭। যা গত সাড়ে ৬ মাসে সর্বনিম্ন। এরইমধ্যে দেশে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৫৬ জন।একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭০ জন।