প্রাইমারি, আপার প্রাইমারির পর এবার নয়া নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে। স্কুলে গ্রুপ ডি (Group D) কর্মী নিয়োগে এবার বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। আর বুধবার মামলা কলকাতা হাইকোর্টে উঠতেই কমিশনকে একহাত নিল কোর্ট। তীব্র ভর্ৎসনা করতেও দেখা যায়। মঙ্গলবার নিয়োগে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে সিবিআই তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আদালত। আর বুধবার আরও একধাপ এগিয়ে আজকেই বেলা দুটোর মধ্যে সমস্ত নথি জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অতিরিক্ত কোন সময় দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানানো হয়েছে আদালতের তরফে।
উল্লেখ্য, প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি নিয়ে আদালতে অভিযোগের পাহাড়। দিন কয়েক আগেই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য আরও তিন মাস সময় দিয়েছিল আদালত। যদিও দিন দুয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিধানসভায় বলেছিলেন, সমস্ত অভিযোগ মিটিয়ে আগামী দু মাসের মধ্যেই নিয়োগ শেষ হবে। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। মামলা গেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। বুধবার তিনি একহাত নিলেন কমিশনের বিরুদ্ধে। জানালেন, "আজ, বুধবার দুপুর ২ টোর মধ্যেই জমা দিতে হবে সমস্ত নথি।" এখানেই শেষ নয়, এরপর তিনি বলেন, আর কোন সময় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে সিবিআই, আইবি দিয়ে কমিশনের অফিস ঘিরে রাখা হবে। এর পেছনে কাদের হাত আছে সব বের করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারের স্কুল গুলিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। এরপর ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হয়। ২০১৯ সালে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। যদিও এরপর নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হলেও কীভাবে, কাদের মদতে নিয়োগ হচ্ছে এ নিয়ে সরব হয়েছেন একাংশ। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ তুলে ধরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই গতকাল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন। ফের বুধবার তিনি একহাত নিলেন। এদিন বলেন, বেলা দুটোর মধ্যে সমস্ত তথ্য দিতে হবে। কমিশনের কোন লোককে বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না। সিবিআই পাঠিয়ে সমস্ত তথ্য নিয়ে আসা হবে।