ফের কলকাতার বুকে দায়িত্বজ্ঞানহীন চিকিৎসা পরিষেবার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সদ্য মা হওয়া এক তরুণী। তরুনীর নাম সুলতানা খাতুন। আসলে সে মাস তিনেক আগে রিপন স্ট্রিটের একটি হাসপাতালে সন্তানসম্ভবা হওয়ায় ভর্তি হয়েছিলেন। নার্সিংহোমের নাম হেরিটেজ নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এই নার্সিংহোম একজন মহিলা চিকিৎসক চালান। তার কাছে এমবিবিএস ডিগ্রী থাকলেও নেই অস্ত্রোপচার করার জন্য প্রয়োজনীয় এমএস বা মাস্টার্স ইন সার্জারি ডিগ্রী। ৩ মাস আগে সন্তানসম্ভাবা সুলতানার সিজারের প্রয়োজন ছিল। ডিগ্রী না থাকা সত্বেও নার্সিংহোম এর মালিক অস্ত্রপ্রচার করেন। কিন্তু তারপরেই বাধে বিপত্তি। অস্ত্রোপচারের পর সদ্যোজাত সুস্থভাবে ভূমিষ্ঠ হলেও সুলতানা খাতুনের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে ব্রড স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে ও পরে আমি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই জন্য তাদের চিকিৎসার বিল গিয়ে দাঁড়ায় ২০ লাখের কাছাকাছি।
কিন্তু একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এত বিল একেবারে দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই তারা বাড়ি বিক্রি করে কোনরকমে ১০ লাখ টাকা বিল মেটায়। তারপর তারা আপাতত সুলতানাকে এসএসকেএম হাসপাতলে ভর্তি করেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী এখন কোমায় রয়েছে। এই ঘটনায় যুবতীর স্বামী সারফরাজ অভিযোগ জানিয়েছে, "ওই মহিলা চিকিৎসকের অস্ত্রপ্রচারের ডিগ্রি ছিল না। তার ভুল অস্ত্রপ্রচারের জেরে এখন তার স্ত্রী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।" অভিযোগ পেয়ে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন ঘটনাটি সম্বন্ধে খতিয়ে দেখে এবং ওই মহিলা চিকিৎসককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে।