শুক্রবার বেলা গড়াতেই উত্তাল আলিপুর চিড়িয়াখানা। বনদপ্তর থেকে পাওয়া নিয়োগপত্র সমেত কন্ট্রাকচুয়াল চাকরির জন্য তাদেরই নির্দেশমত চিড়িয়াখানার দুয়ারে হাজির হন প্রায় ২৫০ জন চাকরিপ্রার্থী। দশ হাজার টাকা বেতনের এই পদগুলিতে যোগদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে পৌঁছানোমাত্রই বাধার সম্মুখীন হন তারা। তারপরই গেটের কাছে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। উত্তাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিরাট পুলিশবাহিনী। যদিও চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হননি।
কীসের এই বিক্ষোভ? কেনই বা বাধার সম্মুখীন হলেন তাঁরা? চিড়িয়াখানার কর্মী সংগঠনের থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বহু আগেই ৪ জনের স্থায়ী চাকরির হবে বলে লিখিত আশ্বাস দিয়েছিলেন যা এখনো কার্যকরী হয়নি, তার উপর হঠাৎ করে বনদপ্তর থেকে অস্থায়ী পদে ২৫০ কর্মীর নিয়োগ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেননা তাঁরা। এমন তড়িঘড়ি পদক্ষেপের পিছনে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকেই দুষেছেন তাঁদের অনেকে। অশান্তির জেরে বন্ধ রাখা হয় চিড়িয়াখানার গেট, ভিতরের দর্শনার্থীদের বের করে আনা হয় এবং টিকিট কাউন্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বৈঠক বসে চিড়িয়াখানার অন্দরে এবং কর্মবিরতির ডাক দেয় এখানকার কর্মী সংগঠন। অবশেষে আগামী দশ দিনের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় এবং শান্ত হয় চত্বর।