চিকিৎসকদের পরামর্শে অবশেষে এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছেন না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ মানলেন বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। করোনার বাড়বাড়ন্তে স্ত্রী কন্যা ভোটের লাইনে থাকলেও তিনি গৃহবন্দি থাকলেন।
দেশসহ রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুহারও সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এমন অবস্থায় আশির উর্ধ্বে প্রবীণ নাগরিকদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করেছে কমিশন। বুদ্ধবাবু যাতে এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন পার্টির তরফে কমিশনকে আবেদন করা হয়েছিল। বুদ্ধবাবু ৮০ বছরের নিচে হওয়ায় কমিশন সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এমন অবস্থায় বুদ্ধবাবু ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে জানানো হয়। যদিও ডাক্তারের পরামর্শে শেষ মুহূর্তে বুদ্ধবাবু ভোট দিতে যাচ্ছেন না বলে খবর।
পাম অ্যাভিনিউর বাসিন্দা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। গত লোকসভা নির্বাচনেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে সশরীরে ভোট দিতে পারেননি। এবারে শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ডাক্তাররা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট দিতে যেতে বারণ করেছেন। এই প্রথম কোন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এবারের নির্বাচনে প্রচারে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও যেতে পারেননি। কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে দিয়েছিলেন বিশেষ অডিও বার্তা, বাংলার মানুষকে জানিয়েছিলেন তাঁর বক্তব্য। তবে ভোট দিতে না পারায় পাম অ্যাভিনিউর ঘরে কার্যত গৃহবন্দি থাকলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।