কলকাতার রাস্তায় প্রথমবার চলল ইলেকট্রিক বাস। চালালেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বুধবার এই দৃশ্যই দেখা গেল কসবা অঞ্চলে। ওপেক্স মডেলের এই বাসে বাস, চালক, বাসের রক্ষণাবক্ষেণ যাবতীয় দায়িত্ব থাকছে বেসরকারি সংস্থার হাতে। শুধু কন্ডাক্টর থাকবে পরিবহণ দপ্তরের। এদিন ১০টি নতুন ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রিক বাসের উদ্বোধন করলেন মেয়র। জানা গিয়েছে, এয়ারকন্ডিশনড এই বাসগুলো কেন্দ্রের ফেম টু প্রকল্পে এসেছে। নিউটাউন থেকে শহরের বিভিন্ন রুটে চলবে এই বাস। এর সর্বনিম্ন ভাড়া থাকছে মাত্র ২০ টাকা।
এদিন স্টিয়ারিং হাতে চালকের আসনে বসে ববি হাকিম বললেন, ''একদিকে যখন পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির জেরে মানুষের উপর বোঝা চাপিয়েছে কেন্দ্র, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় একটা নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন কী করে মানুষের বোঝা লাঘব করে পরিষেবা দেওয়া যায় সেটা দেখতে। আমিও সেই চ্যালেঞ্জটাই গ্রহণ করেছি। আমরা ইলেকট্রিক বাস চালু করেছি কলকাতায়। ভাড়া না বাড়িয়েই মানুষকে বাড়তি পরিষেবা দিতে পারছি আমরা।'' তাঁর সংযোজন, "এখন ৮০টি ইলেকট্রিক বাস শহরে চলে। ফেম টু প্রকল্পে প্রথমে ১০টি বাস এল। আরও ৪০টি বাস নামবে দ্রুত। ১২০০ বৈদ্যুতিক বাস নামানো হবে বছর দুয়েকের মধ্যে। সিইএসএলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তা নামবে। চলতি বছরেই ৪০০টি বাস চলে আসার কথা। আগামী বছর আরও ৮০০টি বাস আসবে। আগামীতে কলকাতায় আর কোনও ডিজেলচালিত বাস থাকবে না। দূষণের মাত্রা শহরে ৬৬ শতাংশ কমে যাবে।"
এছাড়াও এদিন পরিবহণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র আরও বলেন, ''বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আরও ১২০০টি ই-বাস পাওয়ার কথা রয়েছে। CESL এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পে ২০২২ সালের মধ্যেই রাজ্যে আসবে ৪০০টি ই-বাস। এর ফলে পরিবহণের খরচ কমবে। মানুষের উপর বোঝা চাপানো বন্ধ হবে।'' ফিরহাদ হাকিম এদিন জানান যে আগামী সপ্তাহে সিএনজি স্টেশন উদ্বোধন করবেন তিনি। এর ফলে পেট্রল-ডিজেলের ভাড়ার চাপ কমবে। ফিরহাদের কথায় ''কোপেনহেগেনের জি-৪০ সম্মেলনে বলে এসেছিলাম ২০৩০-এ কলকাতায় আর ফসিল ফুয়েল থাকবে না। এর জেরে ৬৬ শতাংশ পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এখানে। কিন্তু, বাস ভাড়া না বাড়িয়ে শুধু ইলেকট্রিক বাস চলবে এবার থেকে।'' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন কেবলমাত্র ই-বাসই নয়, ই-ফেরি সার্ভিসের কথাও ঘোষণা করেছেন পরিবহণ মন্ত্রী।