শুক্রবার রাত সোয়া দশটা নাগাদ আগুন লাগে গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ-র একটি বহুতলে। প্রাথমিক ভাবে গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকা মিটার ঘরে আগুন লেগে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে অনুমান করা হলেও অনুসন্ধান করে জানা যায় আগুনের উৎপত্তি ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলে। ওই ৫ তলা বহুতলের নীচে অনেক দ্রাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় পাশের বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ভয় পাচ্ছিলেন দমকল আধিকারিকরা। যদিও ভোররাতে দমকলের ২৫ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
৩১ নম্বর গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ-র এই ঘটনায় আটকে পড়েন ৪০-৫০ টি পরিবার। সিঁড়ির জায়গায় আগুন থাকায় ছাদে চলে যান অধিকাংশ মানুষ। পরে দমকল হাইড্রোলিক ল্যাডারের সাহায্যে উদ্ধার করে আটকে পড়া দের। আগুনের আতঙ্কে বাড়ির চারতলা থেকে ঝাঁপ দেন বছর বারোর এক কিশোর। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে আবাসনের বাথরুমে আটকে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার। আহত হন আরও দুজন।
ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে আন্দাজ পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ঘটনা বলে দাবি বাসিন্দাদের। সকালেই কলকাতা পুলিশ এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।