বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। এই পরিস্থিতিতে উৎসবের মরশুমে বাজি নয়, ফাটানো যাবে না কোনওরকম পরিবেশবান্ধব বাজিও। সাফ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। 'জীবনের থেকে বাজি বড়ো হতে পারে না', আজ রায় দান করে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু কালীপুজো নয়, ছট ও জগদ্ধাত্রী পুজোতেও নিষিদ্ধ বাজি। বিক্রিও করা যাবে না বাজি।
কালীপুজোর আগেই আচমকা এই রায় দিতে ক্ষোভ উগড়ে উঠেছে বাজি বিক্রেতাদের। আগামী সপ্তাহে কালীপুজো, ইতিমধ্যেই দোকান ভর্তি করে বাজি তুলেছে ক্রেতারা। অনেকে আবার কিনেও ফেলেছেন। এতে ক্রেতাদের ক্ষোভ, "আগে থেকেই তো ভাবা উচিত ছিল করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। যেই জনস্বার্থে মামলা দায়ের হল, তখন নজরে এল যে করোনা বাড়ছে, এখন বাজি নয়!"
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, বাজি (Crackers) বিক্রি নিষিদ্ধ। তার করার কারণ কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে বিপাকে ফেলা নয়। বরং, এদেশের ১৩০ কোটি মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করাই এর উদ্দেশ্য। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, "আনন্দ, উৎসবের কারণে কোটি কোটি নাগরিকের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করার সুযোগ দেওয়া হবে না। আমরা কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিপক্ষে নই। কিন্তু একটা কড়া বার্তা মানুষকে দিতে চাই যে, আমরা এখানে বলব সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারের কথাই।"
এদিকে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও কার্যত পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র 'গ্রিন' বাজি বিক্রি করা যেতে পারে বলে নির্দেশ দিয়েছিল। সঙ্গে, দীপাবলির দিন শুধুমাত্র ২ ঘণ্টা বাজি ফাটানো যাবে বলেই জানানো হয়েছিল। এরপরেই রাজ্যে শুরু হয় বিবাদ। পরিবেশবান্ধব বাজির আড়ালে চলতে থাকে 'নিষিদ্ধ' বাজির রমরমা ব্যবসা। পুলিশকেও হিমশিম খেতে হচ্ছিল 'পরিবেশবান্ধব বাজি' কিনা তা বুঝতে। তবে অবশেষে সমস্ত বাজি পোড়ানোই নিষিদ্ধ করল হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত বছর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সব রকম বাজির বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।