আকাশছোঁয়া বিল ধরিয়ে রোগীদের সর্বস্বান্ত করার অভিযোগ অনেকদিন ধরেই বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিরুদ্ধে রয়েছে। বিল বাড়ানোর জন্য রোগীর মৃত্যুর খবর চেপে গিয়ে মৃতদেহ ভেন্টিলেশনে রেখে দেওয়া, এমনকি বিল মেটাতে না পারায় মৃতদেহ দিনের পর দিন আটকে রাখার ঘটনাও ঘটেছে।
এরই মাঝে আশার খবর দেখাল স্বাস্থ্য কমিশন। করোনা অতিমারি পর্বে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিলের বিশাল অঙ্কে ব্যতিব্যস্ত ও বিরক্ত মানুষ এখন স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বহু ক্ষেত্রে সমস্যা মিটেও যাচ্ছে। যেমন, করোনা আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি এক ব্যক্তির ন'দিনে বিল হয়েছিল ৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা। পরিজনদের অভিযোগে স্বাস্থ্য কমিশন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। কিছু টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেয়। তাছাড়াও এই হাসপাতালের পরীক্ষা-নিরীক্ষার চার্জ বেশি বলে মন্তব্য করে আরও ১ লক্ষ টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আর একটি বেসরকারি হাসপাতাল একদিনের চিকিৎসার জন্য খরচ ধার্য করেছিল ৯২ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য কমিশনের হস্তক্ষেপে ওই হাসপাতালের আইনজীবী দশ মিনিট আলোচনার পর ৫০ হাজার টাকা ছাড় দিতে রাজি হন।
একেই বোধহয় বলে 'ঠেলার নাম বাবাজি'। স্বাস্থ্য কমিশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের ভুক্তভোগী মানুষ।