ফের উদ্বেগ কোভিশিল্ডকে ঘিরে! আর তার মধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এ ফের আক্রান্ত গোটা দেশ। শুক্রবার দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬২ হাজারেরও বেশি৷ ঠিক ১০ দিন আগে এই সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার। অর্থাৎ দশ দিনে দ্বিগুণ গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। এই মুহূর্তে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা ঢেউতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র। বুধবার থেকে গুজরাট আর পাঞ্জাবেও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা প্রভাব। অন্যদিকে, বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছিল ৪ হাজার। গত কয়েকদিনে পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ডহারেই বেড়ে চলেছে সংক্রমণ৷
এদিন শনিবার গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন ৮১২ জন। যার মধ্যে শহর কলকাতায় একদিকে আক্রান্ত ২৯৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৫ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। ফলে বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৩৯ জন। এর মাঝেই উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল কোভিশিল্ড। প্রশ্নের মুখে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের মেয়াদ! কারণ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কোভিশিল্ড নেওয়ার ঠিক একমাসের মধ্যেই করোনাক্রান্ত হয়েছেন এসএসকেএমের বিখ্যাত গ্যাস্ট্রো চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী। জানা যাচ্ছে, তিনি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, টিকারণের পরেই জমে যাচ্ছে রক্ত, এই অভিযোগে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ হয়ে যায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকাকরণ।
এরই মাঝে ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন 'কোভিশিল্ড'-কে ঘিরে ওঠে অভিযোগের ঢেউ। যদিও দেশজোড়া বিতর্কের মাঝে অভিযোগের কোনও ক্লিনিক্যাল সত্যতা নেই বলে সাফ জানায় টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা। এমনকী নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) অন্যতম প্রধান সদস্য ডাঃ ভিকে পালকে জানিয়েছিলেন, "কোভিশিল্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো এখনও কিছুই ঘটেনি।"