কালী-বিতর্ক অব্যাহত। তৃণমূল-বিজেপি দুই যুযুধান শক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে সরব। এবার কালী-বিতর্কে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুক্রবার সকালে অসমে সাংগঠনিক কাজে যাওয়ার পথে কোলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই উগরে দিলেন একরাশ ক্ষোভ।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ শুক্রবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগদান করতে অসম পৌঁছেছেন। অসম যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, "…মহুয়া মৈত্র ধর্ম মানেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ধর্ম মানুন বা না মানুন অন্য ধর্মকে অপমান করার অধিকার কেউ তাঁকে দেয়নি..." দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, কালী-বিতর্কে উঠে-পড়ে লেগেছে বিজেপি। নূপুর শর্মা বিতর্কের ড্যামেজ কন্ট্রোলে কালী-বিতর্ককে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি, অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিকে কালী-বিতর্ক নিয়ে মহুয়া মৈত্রকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবি উঠেছে। সেই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাফ জবাব, তিনি যা বলেছেন ভুল কিছু বলেননি। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এমন মন্তব্যের পর নতুন করে যে চাপানউতোর তৈরি হল বলাই বাহুল্য, বলছেন রাজনৈতিক মহল। এদিন একটি টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমার বক্তব্য থেকে আমি সরে আসব না। কারণ আমি ভুল কিছু বলিনি। বাংলার মানুষ কীভাবে কালীপুজো করবে, বিজেপি বাইরে থেকে এসে শিখিয়ে দেবে নাকি?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মা কালী সম্পর্কে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের পর গোটা দেশেই শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। এমন অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, "একটি অনুষ্ঠানে দেবী কালী প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র যে মন্তব্য করেছেন, তার দায় কোনওভাবেই তৃণমূল নিচ্ছে না। তৃণমূল ওই মন্তব্য সমর্থন করে না বা মান্যতা দেয় না। সর্বভারতীয় তৃণমূল এই ধরণের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে।"
এরপরও বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। তারপরও কালী-বিতর্ক যে থামছেই না, এদিন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর ফের স্পষ্ট হল, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।