আজ ফের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে নামল ছাত্রছাত্রীরা। কলেজ স্ট্রিটের আশুতোষ ক্যাম্পাসের মূল ফটক কার্যত ছেয়ে গিয়েছে ভীড়ে। পিলপিল করছে ছাত্রছাত্রীরা। তাদের দাবি, অফলাইন নয়, অনলাইনেই পরীক্ষা নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। এর আগেও গতসপ্তাহে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। সেসময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করতে কলেজে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ সেইমতো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন চ্যান্সেলার। আর সেইজন্যেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মেন ক্যাম্পাসের ফটকের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে ছাত্রছাত্রীরা।
স্টেট ইউনিভার্সিটি আগেভাগেই অনলাইন পরীক্ষার ঘোষনা করে দায়ভার ঝেড়ে ফেলেছেন। যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতীর মতো অটোনোমাস বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত অফলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্তেই থিতু। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে ৫৫ টি কলেজ। ছাত্রছাত্রীরা দাবি করছেন, ৬ মাসের কোর্স ২ মাসে করিয়েছে। কোনো কোনো কলেজে সেই ২ মাসের মধ্যে ১ মাস অনলাইনে ক্লাস হয়েছে, বাকি ১ মাস অফলাইনে। অফলাইনে কলেজ করতে গিয়েও নির্দিষ্ট বিষয়ে প্র্যাকটিকাল করার সুযোগ পায়নি তারা। এমনটাই দাবি করছে ছাত্রছাত্রীরা।
তাদের আরও অভিযোগ, গুগল ক্লাসরুমে গাদাগাদা নোটসের পিডিএফ পাঠিয়ে দিচ্ছেন প্রফেসাররা। যথেষ্ট ডাউট-ক্লিয়ারেন্স ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এইমুহুর্তে অফলাইন পরীক্ষা হলে তাদের নম্বর কম আসবে। তাহলে পরীক্ষা পিছিয়ে অফলাইনে নেওয়া হোক? এই প্রস্তাবে গররাজি ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। তারা জানাচ্ছে, এটাই তাদের ফাইনাল ইয়ার। কারোর কারোর মাস্টার্সের জন্য অন্য ইউনিভার্সিটিতে ইতিমধ্যেই অ্যাডমিশন হয়ে গিয়েছে। ক্লাস শুরু হবে আগস্টে। তাই জুলাইয়ের মধ্যে রেজাল্ট বেরোনো সমূহ প্রয়োজন। ফলত পরীক্ষা পেছোনোর প্রশ্নই উঠছে না। এমতবস্থায় একটাই উপায় অনলাইন সেমিস্টারের আয়োজন। আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে ছাত্রছাত্রীরা।