পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ শুক্রবার প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছিল বামফ্রন্ট (Left)। তারা ঢাকুরিয়ার ইন্ডিয়ান অয়েল এর কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত ছিল। তারা প্রতিবাদ করার জন্য লেক থানার (Lake police station) পুলিশের থেকে অনুমতি চেয়ে মঞ্চ বেঁধেছিল। কিন্তু বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ মঞ্চ ভেঙে দেয়। পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় অঞ্চলজুড়ে। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক, পলিটব্যুরো সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujon Chakraborty) সহ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
লকডাউন পরবর্তী সময় থেকেই দেশজুড়ে পেট্রোপণ্যের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতা শহরে পেট্রলের দাম সেঞ্চুরি ছুঁতে বসেছে। এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্ট দলীয় নেতারা কিছুদিন আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। পূর্ব পরিকল্পিত সময়সূচি অনুযায়ী তারা ঢাকুরিয়া অঞ্চলে মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ শুরু করলে কলকাতা পুলিশ বাধা দেয়। প্রথমে বচসা এবং পরে তা ধস্তাধস্তিতে পরিণত হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সুজন চক্রবর্তী সহ ৪৫জনকে গ্রেপ্তার করলেও পরবর্তী সময়ে তারা সুজন চক্রবর্তীকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এখনও বাকিরা লালবাজার থানায় আটক রয়েছেন। পুলিশের অভিযোগ যে তারা করোনা পরিস্থিতি বিধি ভেঙ্গে জমায়েত করেছিল। তাই তাদের আটক করা হয়েছে।