সিপিএম এবং কংগ্রেস একসাথে দুজন মিলে ধর্ম তলায় আয়োজিত করল একটি জোড়া বিক্ষোভ। এক পক্ষের দাবি কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিল এবং অপর পক্ষের দাবি কলকাতার বিদ্যুৎ এর মাশুল হ্রাস। সব মিলিয়ে এদিন পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে উঠল ধর্মতলায়। কংগ্রেস সমর্থকরা পুলিশের বোকা বানিয়ে মিটিং মিছিল করার জন্য নিষিদ্ধ সিধু কানু ডহর ঢুকে গেল। অন্যদিকে সিপিএম সমর্থক রা সোজা সিএসসি বিল্ডিং এর দিকে রওনা দিল। তবে পথে পুলিশ তাদের ওপর করলো লাঠিচার্জ। বাকি সমর্থকরা তাদের বাঁচাতে তেড়ে আসায় পরিস্থিতি আরো জটিল হলো। তবে, জানা গিয়েছে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, এই জোড়া কর্মসূচি নিয়ে বেশ সরগরম রইল এদিন রাজ্য রাজনীতি।
বিজেপির তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রত্যেকটি কৃষক সংগঠনের মতই সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে কংগ্রেস। এদিন সারাদেশে প্রদেশ কংগ্রেস দলগুলি এই বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেছে। দুপুরের পর কলেজস্ট্রিট থেকে হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে মিছিল বের করে কংগ্রেস।
অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেন্ট্রাল এভিনিউ থেকে কেশিদাস মোড় অব্দি পৌছলেই পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। পুলিশের হালকা ব্যারিকেড ভেঙ্গে তারা ট্রাম লাইন ধরে কার্জন পার্ক এর মধ্যে দিয়ে ওল্ড কোর্ট হাউসে চলে আসে। পরিষদের আটকাতে ব্যর্থ হয়। সেই মুহূর্তেই বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সমর্থক রাজভবনের কেটে উঠে-পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এরপরে তাহলে চলে যায় সিধু কানহ্ন ডহর এর দিকে। অধীর মান্নান সহ আরো অনেকে রাজ্যপালের কাছে কৃষি আইন নিয়ে ডেপুটেশন অব্দি জমা দিয়েছেন এরপরে।
অন্যদিকে বিদ্যুতের মাশুল কমানো নিয়ে এবং নিম্নবিত্ত মানুষের ইলেকট্রিক বিল মুক্তির দাবিতে সরব হয় সিপিএম। সিপিএমের কয়েকশো সমর্থক ভিক্টোরিয়া হাউজের দিকে রওনা দিতে শুরু করে। এরপর তারা ভিক্টোরিয়া হাউজের মূল ফটকের দিকে এগিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এই সময় পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা এগিয়ে যায়। সেই কারণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের উপরে। সঙ্গে সঙ্গে বাকি সর্মথকরা তাদের দিকে তেড়ে আসে। ফলে, এদিন সারাদিনের জন্য পরিস্থিতি উত্তাল থাকে ধর্মতলার।