ভুয়ো ভ্যাকসিন (Fake Vaccine) কাণ্ডে ক্রমাগত শাসকদলের নাম জড়িয়ে পড়ায় বাড়তি চাপে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করার নির্দেশ দিলেন। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। এদিন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব যাতে কোনভাবেই ছাড় না পায় কিংবা বাড়তি সুযোগ না পায় তার জন্য কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, শহরের বিভিন্ন থানায় দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক মামলা দায়ের হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সঠিক তদন্তের স্বার্থে এই মামলার স্পেশাল সিট গঠন করা হয়েছে বলে খবর। যে দায়িত্বে আছেন জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম) মুরলিধর শর্মা। এদিকে বিরোধীরা শাসকদলের অসংখ্য নেতাদের সঙ্গে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের ঘনিষ্ঠতার ছবি সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে চলেছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, শাসকদলের ছত্রছায়ায় এই অভিযুক্ত এই ধরণের কাজ ক্রমাগত করে চলেছেন। এটি ধরা না পড়লে এরপর হয়তো মোদীজীর টিকাকেই দোষ দিয়ে বসতেন শাসকদল। এমন পরিস্থিতিতে কসবার এই ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরকে কেন্দ্র করে প্রতারণার জাল ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ বলে সূত্রের খবর। ধৃতেরা হলেন সুশান্ত দাস, রবীন শিকদার এবং শান্তনু মান্না। দফায় দফায় জেরার পর এদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত সুশান্ত দাস সল্টলেকের বাসিন্দা এবং রবীন শিকদার বারাসতের বাসিন্দা। ধৃত তৃতীয় জন শান্তনু মান্না তালতলার বাসিন্দা। যিনি নিজেকে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের ম্যানেজার বলে পরিচয় দিতেন। অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব কলকাতা পুরসভার নামে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে দু'টি অ্যাকাউন্টও খুলে ফেলেছিলেন। যে অ্যাকাউন্ট গুলোর দায়িত্ব সামলাতেন এই ধৃত শান্তনু মান্না বলে সূত্রের খবর। এদিকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের জাল আরও ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশ।