বাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ব্যাপক ধুন্ধুমার হল সল্টলেকে। এদিন দুপুরে বিএল ব্লকের একটি বাড়িতে গৃহপ্রবেশের পুজো চলাকালীন একদল দুস্কৃতী চড়াও হয় আগ্নেয়াস্ত্রসমেত। অভিযোগ বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে তারা। ঘটনায় দুপক্ষ মিলিয়ে তিনজন আহত হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিএলব্লকের উক্ত বাড়িটির মালিক মনোজ টোডি নামক এক প্রোমোটার। কিন্তু সেই বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে লিজ নিয়েছিলেন ভৈরব চক্রবর্তী নামের এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায়ী। তবে টাকা না দেওয়ার কারণে ভৈরব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা করেন মনোজ টোডি৷ উল্টোদিকে পাল্টা মামলা করেন ভৈরবও। এরফলেই বাড়িটির দখলদারি নিয়ে তৈরি হয় আইনি জটিলতা। যেহেতু আদালতে মামলায় চলছে তাই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, জটিলতা অমান্য করে মহেশ সিংহানিয়া নামক এক ব্যক্তিকে বাড়িটি লিজে দেন মনোজ টোডি। আর সে কথা জানতে পেরেই চড়াও হন ভৈরব চক্রবর্তীর লোকজন। অন্যদিকে খবর পেয়ে হাজির হন মনোজ টোডির লোকেরাও। উল্লেখ্য, এদিন মহেশ সিংহানিয়াই নিজের বাড়িতে গৃহপ্রবেশের পুজোর আয়োজন করেছিলেন।
দুই দলের লোকজন চড়াও হয়ে বাড়ি ভাঙচুর করে ও বাড়ির আসবাবপত্র নষ্ট করে। বাড়ির বাইরে থাকা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এমনকি বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও মারধোর করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ পৌঁছে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে ১৪৪ ধারা জারির পরেও কীভাবে বাড়িটি হস্তান্তর করা হল? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।