আজ বুধবার শেষ হতে চলেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজত। আবারো আসানসোল আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। এই কারণেই আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বের করে আনা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে আজকের সিবিআই অফিস থেকে বেরোনোর সময় একটু অন্য মেজাজে দেখা গেল বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশংসা তিনি ছিলেন পঞ্চমুখ। বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি নাকি তদন্তে সাহায্য করছেন না। সেই নিয়েই আজ মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল।
কেমন আছেন তিনি? তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই কেন অভিযোগ জানাচ্ছে? এই সমস্ত প্রশ্ন উড়ে আসা শুরু করে তাঁর দিকে। একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। জানালেন তিনি একেবারে ভালো আছেন। তবে সব থেকে বড় বিষয়টা হলো আজ অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি প্রশংসা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর এই ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী যেভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ তিনি। তিনি বললেন, 'দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, অনেক করেছেন।' সেই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দিলেন, তিনি নিজেই বলবেন হুমকি-চিঠির ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো হোক।
আদালতে যাওয়ার পথে এদিন নিজাম প্যালেসের বাইরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বললেন, 'শরীরটা একেবারেই ভালো আছে। জামিন নিয়ে পরবর্তী কথা তিনি সোজা আদালতে বলবেন।' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে আসানসোল আদালতে অনুব্রতকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করেছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এছাড়াও জামিন পেলে তিনি তদন্ত প্রভাবিত করতে পারবেন বলে, তাঁরা জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'এটাতো সিবিআই এর তোতাবুলি।'
অন্যদিকে, বিচারকের হুমকি চিঠি পাবার বিষয়টি সামনে আসার পরে গরু পাচার মামলার পুরো তদন্ত বাংলার বাইরে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। অনুব্রতকে আজ এই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি একেবারে নিজের পুরনো চেনা দাপটে বলেন, এরকম করে নিয়ম আছে কি? তবে সূত্রের খবর, আবার অনুব্রত মণ্ডলের জেল হেফাজতের আবেদন করতে চলেছে সিবিআই। আটক হওয়ার পর থেকেই বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা দাবি করে এসেছেন তিনি নাকি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু জানা যাচ্ছে এটা একেবারেই ভুল বরং তিনি করছেন একেবারে উল্টোটা। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডল একেবারেই সহযোগিতা করছেন না তদন্তে। তাই অনুব্রতকে আরো একবার জেল হেফাজতে চাইতে পারে সিবিআই।