একুশে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা। তবে এবার বাংলার বুকে রাজনৈতিক মতভেদের জন্য দাম্পত্য জীবনে প্রথমে কলহ ও তারপরে মৃত্যুর কড়াল ছায়া নেমে এলো। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরে। অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মী স্বামী তার তৃণমূল কর্মী স্ত্রীকে খুন করেছে। ঘটনা নিয়ে রীতিমতো এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। জানা গিয়েছে মৃত গৃহবধূর নাম বিউটি বিশ্বাস। সে হরিদেবপুরের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা। তার দুই মেয়ে আছে এবং তারা পেশায় আইনজীবী। দুই মেয়ে দাবি করেছে, সেদিন সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে গিয়ে তার মাকে ডাকাডাকি করলেও তারা অনেকক্ষণ সাড়া পায়নি। তারপর তারা বাড়ীর ভেতর ঢুকে দেখে ঘরের মেঝেতে তাদের মায়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। তার মুখ থেকে গাঁজলা বের হচ্ছে। তারা ঘটনাটি জানানোর পর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে হরিদেবপুর থানার পুলিশ পৌঁছায়।

মৃতের এক প্রতিবেশী জানিয়েছে, চিল্লামিল্লি শুনে আমরা তার বাড়িতে ঢুকলে মৃতের শরীরে কোন জামা কাপড় ছিল না। তার মুখে তুলো গোঁজা ছিল। অন্য এক প্রতিবেশী দাবি করেছেন, মৃত গৃহবধূ বিউটি বিশ্বাস একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। অন্যদিকে তার স্বামী মন্মথ ছিলেন এলাকার বিজেপি মন্ডল সভাপতি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রাজনৈতিক দল নিয়ে প্রায়ই অশান্তি চলত। অভিযোগ উঠেছে স্বামী স্ত্রীকে অত্যাচার করত শুধুমাত্র সে তৃণমূল কর্মী বলে। তবে আসলে ঘটনাটি রাজনৈতিক হিংসা না পারিবারিক কলহ তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকরা।