ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhwanipur By-poll) নিয়ে আর কোন বাধা থাকল না। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল নির্দিষ্ট দিনেই ভবানীপুর উপনির্বাচন হবে। তবে এই মামলায় নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা করল আদালত। এই জরিমানা সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর হবে।
ভবানীপুরে উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের পরেই কেবল ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তোলা হয়। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় একটি জনস্বার্থ মামলা। আদালত নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা দাবি করে। নির্বাচন কমিশনের তরফে সেই হলফনামা জমা দেওয়া হলেও কমিশনের উত্তরে আদালত যে সন্তুষ্ট নয়, এদিনের মামলার প্রেক্ষিতে তা জানা যায়। এরফলে বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে কোন বাধা না থাকলেও কমিশনকে দিতে হবে জরিমানা বলে জানিয়েছে আদালত। এমনকী নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কড়া প্রশ্ন তুলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে ভবানীপুর বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি এই কেন্দ্রে ইস্তফা দেন। একজন জয়ী প্রার্থীর ইস্তফা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এইভাবে জনগণের অর্থ খরচের বিষয়টি নিয়েও সরব হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলেও কমিশনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে আদালত।