বঙ্গ রাজনীতিতে ভোটের আগুনে সরগরম রাজ্য। ক্রমশ বাড়ছে ভোটের উত্তাপ। মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী এমনকি আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতিদিনের সভার একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে প্রচার পর্বে। আর তার আগেই ফের গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন ব্রাত্য বসু। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা দূর্নীতির অভিযোগ থেকে শুরু করে ভোটের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ওঠা অভিযোগ নিয়েও এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দাগলেন ব্রাত্য বসু।
এদিন সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসু বলেন, "প্রথম দফার আগে মমতাদির নামে একটা ভুয়ো অভিযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। দেখা গেল, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে মামলা রয়েছে তিনি তৃণমূল নেত্রী নন। দ্বিতীয় দফার সময়ে আরও একটি গুজব রটানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি আরও একটি আসন থেকে লড়াই করবেন। আমাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আমাদের দলনেত্রী আর যেই হোক প্রধানমন্ত্রী নন যিনি ভয়ে দুটি কেন্দ্র থেকে লড়াই করেন। এসব করে হালে পানি না পেয়ে বিজেপি হয়তো ঘোষণা করবে, প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে ভোটে লড়বেন। ওরা যেভাবে গুজব ছড়াচ্ছে তাতে বলতেও পারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য লড়াই করবেন মোদীজি।"
এরপরেই সরাসরি ব্রাত্যবাবু বলেন, "বিজেপিরা একাধিক সাংবাদিক সম্মেলনে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে তৃণমূলের ওপর। আমরা যে কোনও তদন্তকেই স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি তদন্ত নিরপেক্ষ হোক।"
এরপরেই কয়লাপাচার কান্ড নিয়ে তিনি বলেন, "কয়লা কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি। সব কোলিয়ারি প্রহরা দেয় সিআইএসএফ। বিজেপি বলছে তৃণমূল ৯০০ কোটি টাকা কয়লা থেকে হপ্তা নিয়েছে। তাহলে ওরা কত কোটি টাকা নিয়েছে? এর জন্য কয়লা মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। এনিয়ে আমরা মামলা করব। আমরা মনে করি প্রথম ২ পর্যায়ের ভোটে বিজেপি খুব খারাপ ফল করেছে। দিল্লিতে ঘন ঘন মিটিং হচ্ছে যে তামিলনাড়ু ও কেরলের মতো হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বাংলাও। সভায় লোক হচ্ছে না। লোকের অভাবে সভা বাতিল করতে হচ্ছে।"