দিনভর চাপানউতোরের পর অবশেষে নন্দীগ্রাম মামলার (Nandigram Case) শুনানি আজকের মতো স্থগিত রাখলেন হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ। তিনি জানালেন, "আচ্ছা। ঠিক আছে। আপনাদের দাবি বিবেচনা করছি। আপাতত এই নির্দেশ মুলতুবি থাকল।"
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে এই মামলা অন্য বেঞ্চে সরানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সওয়াল করেন বিচারপতি অভিষেক মনু সিংভি। আদালতের নিয়মানুযায়ী এদিনের মামলায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে প্রথম থেকেই এই মামলা অন্য বেঞ্চে সরানোর পক্ষে সওয়াল করেন বিচারপতি অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, "আপনি শুনতে চান বা না চান, আমি বুঝতে পারছি না কেন নিয়ম মেনে বেঞ্চ বদল হবে না? এতে সমস্যা কোথায় বুঝতে পারছি না? আপনি যদি মামলা প্রত্যাহার না করেন, তবে আপনার পছন্দ মতো এই মামলা এগিয়ে যেতে পারে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "বিচারপতি কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেন, "আপনার সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আপনি বিজেপির লিগ্যাল সেলের প্রধান ছিলেন বলে জেনেছি। বিজেপির হয়ে বিভিন্ন মামলায় আপনাকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে।" এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, "আপনাদেরও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে জানি। আপনি কংগ্রেসের হয়ে প্রতিনিধিত্বকরেন। মুখোপাধ্যায় বিজেপির। তার পরও মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে মামলা লড়ছেন। এখন বিচারপতির পূর্ব জীবন নিয়ে বলতেই পারেন।"
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অল্প ভোটে প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন। তখনই তিনি বলেছিলেন এই বিষয় নিয়ে কোর্টে যাবেন। হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলা গেলে তৃণমূলের পক্ষে আপত্তি জানানো হয়। তৃণমূল দাবি করেন, বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপির হয়ে অনেক মামলা লড়েছেন। তাই বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় তৃণমূলের পক্ষে মামলা অন্য বেঞ্চে সরানোর আবেদন জানানো হয়। আজকের সেই মামলার শুনানিতে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ।