বঙ্গ রাজনীতিতে তারকা প্রার্থীদের ভীড়, তা সে বিজেপি, কিংবা তৃণমূল। তবে একজন সাধারণ মানুষ নিজের সফলতার জোরে যদি চলচ্চিত্র জগতের এক বড়ো নামজাদা তারকা হয়ে যান, তাহলে কী রাজনীতি বোঝা কিংবা করা দুটোই অপরাধ? কিংবা উচ্চশিক্ষিত হয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হওয়া সম্ভব নয়? যদি কোনো ডাক্তার, খেলোয়াড় কিংবা পড়ুয়ারা সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে যোগদান করতে পারেন, প্রার্থী হতে পারেন বিনা বির্তকে, তাহলে শুধু পেশাগত ভাবে 'শিল্পী'রাই প্রার্থী হতে পারবেন না! কেন? তাঁরা কী কোনোক্ষেত্রে আলাদা? তাঁদের কী গণতান্ত্রিক দেশে থেকেও রাজনীতি করার অধিকার নেই?
হঠাৎ এ প্রসঙ্গ কেন! কারণ সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, ‘অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে এলে রগড়ে দেব’। তিনি এক মিউজিক ভিডিও নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, "শিল্পীদের বলছি আপনারা নাচুন, গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের জন্য ছেড়ে দিন। নাহলে রগড়ে দেব।" এদিকে বিজেপিতেই অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, পার্ণো, পায়েল, তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং অভিনেতা যশ, বনি, মিঠুন চক্রবর্তী সহ একঝাঁক তারকাদের ভীড়!
নিজের দলে শিল্পীদের জন্য দুয়ার খুলে 'রগড়ে' দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন দিলীপবাবু। বিজেপি রাজ্য সভাপতির সেই বিস্ফোরক মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনয় জগতের তারকাদের একহাত নিলেন শ্রীলেখা মিত্র। পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, বিজেপিতে যোগদান করা ‘শিল্পীরা’ এরপর চুপ কেন? প্রসঙ্গত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করে বলেছিলেন, 'সম্মান' পাওয়ার আশায় তিনি এ দলে এসেছেন। কেমন সম্মান পেলেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন।
সংবাদমাধ্যম পাল্টা দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করেন, রগড়ানো মানে কী বলতে চাইছেন? দিলীপের পাল্টা বক্তব্য, "ওরা জানে আমি কীভাবে রগড়াই।”
এরপরেই পাল্টা শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, "বিজেপিতে যোগদান করা ‘শিল্পীরা’ কোথায় গেলেন? আইনি নোটিস পাঠাবেন না? এইবার চুপ কেন? সত্যি বলছি, আপনাদের জন্য আমার বড় করুণা হয়। সকলকে সহানুভূতি জানাচ্ছি। এই লজ্জার হাত থেকে হয়তো তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন না। তবে আমাদের মতো বামপন্থীরা সবসময় আপনাদের পাশে আছে।”