দু'জনের ১০ বছরের সম্পর্ক। বিয়েও ঠিক হয়েছিল। এর আগেও প্রেমিক বহুবার প্রেমিকার বাড়িতে এসেছেন। কিন্তু কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু কী এমন হল যে প্রেমিক চলে যাওয়ার পরেই ঘর থেকে উদ্ধার হল প্রেমিকার মৃতদেহ? ধন্ধে পুলিশও।
ঘটনাটি যাদবপুরের গড়ফা এলাকার। মৃতা তরুণীর নাম সুস্মিতা দাস। বছর ২৬-এর এই তরুণীর সঙ্গে হাবড়ার পঙ্কজ দাসের ১০ বছরের বেশি প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। এমনটাই বলছেন সুস্মিতা দাসের পরিবারের লোকজন। সম্প্রতি তাঁদের বিয়ে ঠিক হয়। দু'জনে মিলে বিয়ের কেনাকাটাও শুরু করেছিলেন। রবিবার দুপুরে হাবড়ার পঙ্কজ সুস্মিতা দাসের বাড়িতে আসেন। দুপুরে নাকি একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। তারপর কখন চলে গেছেন পরিবারের কেউ জানেন না, এমনটাই দাবি।
এদিকে পঙ্কজ চলে যাওয়ার পর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুস্মিতার মৃতদেহ। পরিবারের লোকজন ঘরে ঢুকেই দেখতে পান সুস্মিতার অচৈতন্য দেহ পড়ে রয়েছে। মুখে কালসিটে দাগ। তাঁকে উদ্ধার করে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সুস্মিতার আচমকাই এমন মৃত্যুর কারণ কী? গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। একাংশের বিশেষত সুস্মিতার পরিবারের দাবি প্রেমিক পঙ্কজ তাঁকে খুন করেছে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যেখানে বিয়ে ঠিকঠাক, কেনাকাটা চলছে, তাহলে এমন ঘটনার কারণ কী? অপর একটি অংশ বলছেন সম্পত্তিগত ব্যাপারের কারণে এই ঘটনা। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা পঙ্কজ দাস। এখানেই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। সুস্মিতার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।