রাজ্যে চতুর্থ দফা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪ জন সাধারণমানুষ। শীতলকুচি তে এই ঘটনা রাজনীতিতে নয়া মাত্রা যোগ করেছে। শনিবারে ভোটের দিনের এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক পর্যায় শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। সবার মধ্যেই চাপা উত্তেজনা, কে দোষী তা নিয়ে। এবারে রবিবার ধর্ম তলায় গান্ধী মূর্তি পাদদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিলেন ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, শুভা প্রসন্ন, কবির সুমণ সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব। শীতলকুচি ঘটনার সঙ্গে তারা নন্দীগ্রামের গুলি চালানোর ঘটনা একআসনে নিয়ে এলেন। প্রিয় নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছিলেন তারা। এবারেও তার অন্যথা হলো না।
তৎকালীন বাম সরকার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন দমন করার জন্য তারা পুলিশকে দিয়ে গুলি চালিয়েছিল সাধারণ মানুষের উপরে। সেদিন পথে নেমে নিন্দায় সরব হয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। এবারে শীতলকুচি তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের প্রাণহানি নিয়ে আবারও কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিবাদে দমন-পীড়ন নীতির বিরুদ্ধে আবারো গলা তুললেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা। শনিবার শীতলকুচি গুলি চালানোর ঘটনায় রবিবার রাজ্যের শাসক দল দিনটিকে কালা দিবস হিসেবে পালন করার বার্তা দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সারাদিন কালো কাপড় নিয়ে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন। ব্রাত্য বসু, কবীর সুমনের মত বিদ্বজ্জনেরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে গণহত্যাকে ধিক্কার জানালেন। তাদের কোন কোন পোস্টারে লেখা 'Bullet Revenge by ballot' আবার কোনো কোনো পোস্টারে লেখা, "বহিরাগত বাহিনীর গুলিতে চলে গেল চার বাঙালির প্রাণ, দায় কার?"