২০১৮ সালে ২৫ নভেম্বর মৃত্যু হয় আইনজীবী রাজীব দে-র। নিউটাউনের ডিবি ব্লকে নিজের ফ্ল্যাটে বিছানার পাশে মেঝেতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় রাজীবকে। গলায় কালো দাগ ও পুরো মুখ নীল হয়ে ছিল মৃত্যুর সময়। তবুও তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা পুলিশকে জানান যে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে রাজীবের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় আসলে গলায় তার জাতীয় কিছু দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ রাজীব মৃত্যুর ৬ দিনের মাথায় স্ত্রী অনিন্দিতা কে গ্রেফতার করলেও অনিন্দিতা পুলিশকে কোনোভাবে সহযোগিতা করেনি বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
নানা সময় বয়ান পাল্টেছেন অনিন্দিতা। যদিও উনি জেরার মধ্যে স্বীকার করে নিয়েছিলেন মৃত্যুর দায়। কিন্তু প্রমাণের অভাবে আটকে ছিল সবটা। অবশেষে অনিন্দিতার ফোনে গুগলে সার্চ করা "লিগেচার মেটেরিয়াল" শব্দটি অকাট্য প্রমাণ হিসাবে উঠে এলো।
রাজীব মৃত্যুর সময় বাড়িতে একমাত্র অনিন্দিতাই উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের কাজে অসহযোগিতা এবং প্রমাণ লোপাটের জন্য প্রাথমিকভাবে অনিন্দিতাকে গ্রেফতার করা হলেও আজ খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি।
রাজীবের পরিবারের থেকে ওর বাবা এই বিচার পেয়ে খুশি। বললেন " সত্যের জয় হবে। প্রমাণের সত্যতা প্রমাণিত হবেই। এই রায়ে রাজীবের আত্মা শান্তি পাবে।"
এদিকে এই রায় শুনে ভেঙে পড়েন অনিন্দিতা। এই মুহূর্তে ওদের সন্তান সাড়ে তিন বছরের। তার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পরিবার।