এবার কলকাতা পুরসভার সরবরাহ করা দূষিত জল পান করে মৃত্যু হল পুরসভারই এক কর্মী ও আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের বিচারাধীন এক বন্দির। একইসাথে, শশীশেখর বসু রোড সহ ৭৩-৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু অঞ্চলে সাপ্লাই দেওয়া ওই দূষিত জল পান করে অসুস্থ হয়েছেন প্রায় ৭০ জন এলাকাবাসী। স্বাভাবিকভাবেই পানীয় জলের এই বিষক্রিয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
শশীশেখর বসু রোডের বাসিন্দা বাহান্ন বছর বয়সী ওই মৃত পুরকর্মী ভুবনেশ্বর দাস থাকতেন পুরসভার শ্রমিক আবাসনে। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, আলিপুর সংশোধনাগারের ওই মহিলা বন্দি রিংকি তামাংকে অসুস্থতার জেরে প্রথমে এসএসকেএমে নিয়ে গেলে সুস্থ হয়ে ফেরেন, কিন্তু পরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে আবারও এসএসকেএমে নেওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় পিংকির।
কি বলছেন স্থানীয়রা? তারা জানান দিন সাতেক আগেও শশীশেখর বসু রোডের শ্রমিক আবাসনের কল থেকে দূষিত জল বেরোতে দেখা যায়। যারা ওই জল খেয়েছেন, প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়েছেন বলে জানান বাসিন্দারা। বমি, মলত্যাগ, পেটের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেকেই। পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম পুরসভার গাফিলতির কথা স্বীকার করে জানান, "ভবানীপুরে পানীয় জল থেকে সংক্রমণের কথা সোমবার সকালে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে পুরসভার আধিকারিকদের আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। তবে আমি ঘটনার কথা শোনা মাত্রই এ দিন সকালে জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি-কে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করতে বলেছি। কমিশনারকেও বিষয়টি সরেজমিন দেখতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি।" যদিও ভুবনেশ্বরবাবুর মৃত্যুর জন্য জলদূষণ নয়, ওনার হৃদযন্ত্রের সমস্যার কথা উল্লিখিত হয়েছে ডেথ সার্টিফিকেটে।