মহামারীর কবলে ভুবনব্যাপী অতৃপ্তির মাঝেই জায়গা করে নিল একটুখানি শান্তি। হ্যাঁ, খুধার রাজ্যে খিদে মিটিয়ে শান্তি। গত একুশ বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় এশিয়া-আফ্রিকার ক্ষুধাতুর প্রাণে একটু খাবার যোগানোর অদম্য উদ্যোগ এবছর বিশ্বের দরবারে নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত হল। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হল ডব্লিউএফপি বা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম।
মহামারীর গ্রাসে বিশ্বজুড়ে কাজ হারিয়েছেন বহু চাকুরীজীবী ও ব্যবসায়ী। এছাড়াও প্রতিবছরই এশিয়া ও আফ্রিকায় নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুঃস্থ মানুষের দুর্দশা চরমে ওঠে। খাদ্য সংকটের সাথে লড়াইয়ে তাঁরা পৌঁছে গেছে দেশে বিদেশের নানা প্রান্তে। ডব্লিউএফপির মাধ্যমে প্রায় ৮৮ টি দেশে ১০ কোটি মানুষকে পুষ্টিকর খাবার মুখে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দেশে দেশে অতিমারীজনিত লকডাউন ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধের দিনেও আকাশ পথে দৈনিক ১০০ টি বিমান, সড়কপথে দৈনিক ৫৬০০ টি ট্রাক ও জলপথে প্রায় ৩০ টি জাহাজে করে খিদে জর্জরিত মানুষগুলোর কাছে পৌঁছে যেত টিম। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে এক কোটি সত্তর লাখ শিশুকে মিড ডে মিল পৌঁছে দিতেও সফল হন তারা। শান্তির জন্য আজ নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় বিশ্ববাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে রইল রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্ব-খাদ্য কর্মসূচি বা ডব্লিউএফপি।