জরায়ু মুখের ক্যান্সারে (Cancer) প্রতিবছর বহু মহিলা আক্রান্ত হন। এর জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে অনেকের। তবে আর নয়। এবার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute) এবং ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি (Department of Biotechnology) তরফে উন্নীত কোয়ারট্রিভ্যালেন্ট হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে আনতে প্রস্তুত। এটাই প্রথম টীকা যা জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম।
আগামীকাল অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এর হাত ধরে বহুল প্রতীক্ষিত এই ভ্যাকসিনটি চালু হতে চলেছে। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারপার্সন ডাঃ এন কে অরোরার মতে, সম্পূর্ণ দেশীয় এই ভ্যাকসিন ভারতে চালু হওয়া বেশ একটি উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা। তাঁর কথায়, "এটি খুবই আনন্দের এবং আমি অবশ্যই বলব যে আমরা বেশি খুশি হচ্ছি কারণ আমাদের কন্যা এবং নাতনিরা এই ভ্যাকসিনের সুবিধা লাভ করতে পারবে। আশা করছি ভারতের সর্বত্র এই ভ্যাকসিন এর সাপ্লাই হতে চলেছে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি করা হবে।"
ডঃ অরোরার ব্যাখ্যা, "এটি খুবই কার্যকর এবং জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম কারণ ৮৫%-৯০% জরায়ুমুখের মুখের ক্যান্সার যে বিশেষ ভাইরাসের কারণে হয়, এই ভ্যাকসিনটি তা প্রতিরোধ করে। তাই, যদি আমরা এটি আমাদের ছোট বাচ্চাদের এবং কন্যাদের টীকা হিসেবে দিই, তাহলে তারা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে এবং আগামী ৩০ বছরেও তাদের ক্যান্সার ছুঁতে পারবেনা।" তাঁর সংযোজন, "বৈশ্বিক বাজারে এই ভ্যাকসিনের ঘাটতি ছিল। এখন ভারতীয় ভ্যাকসিন এসেছে। তাই, আমরা আমাদের মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শরীরের যত্ন নিতে সক্ষম হবো।"