বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে শনিবারই মাঙ্কিপক্সকে জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এর পরপরই ভারতে বেড়ে চলেছে মাঙ্কিপক্স রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। এতদিন কেবল কেরলে ছিল সংক্রামিতদের আঁতুড়ঘর। তারপর দিল্লিবাসীর শরীরে মিলেছিল সংক্রমণ। আর দিন ঘুরতেই এবার তেলেঙ্গানাতেও থাবা বসালো মাঙ্কিপক্স। সর্বমোট ভারতে এখন মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৫-এ।
সরকারের তরফে মাঙ্কিপক্সের টীকা তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ১০ অগাস্ট পর্যন্ত নেওয়া হবে আগ্রহের আমন্ত্রণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস জানিয়েছেন, এই রোগের ক্ষেত্রে গণটীকা দেওয়া প্রযোজ্য নয়। ফলত আইসিএমআর যে ভেবেছিল, সাধারণ বসন্তের টীকা দেওয়া হবে, সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে। আইসিএমআরের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "২০১৯ সালে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের জন্য অ্যাটেনুয়েটেড ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাসের (আঙ্কারা স্ট্রেন) উপর ভিত্তি করে একটি নতুন ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়েছিল। মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য টিকা দেওয়ার সম্ভাব্যতা এবং উপযুক্ততা মূল্যায়ন করার জন্য এখন বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছে"
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। যেখানে বলা হয়েছে, সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা সকলকে অন্তত ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। পাশাপাশি যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের ২১ দিন নজরদারিতে রাখতে হবে। সংক্রামিতরা নিজেদের ক্ষতস্থান ঢেকে রাখবেন। এবং পুরোপুরি না সারা পর্যন্ত সূর্যালোকে আনবেনা। আক্রান্তদের অবশ্যই ট্রিপল-প্লাই মাস্ক পরতে হবে। সংক্রামিতরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একঘরে থাকবে না। এমনকি,যারা আইসোলেশনে রয়েছেন তারা রক্ত, বীর্য, টিস্যু, অঙ্গদান করতে পারবেনা।