করোনা (Corona) সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল যে এই মারন ভাইরাস কি সংক্রামিত হতে পারে গঙ্গার মাধ্যমে। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে বীরবল সাহনি ইনস্টিটিউট অফ প্যালিওসায়েন্স (Birbal Sahani Institute of Paleoscience) ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Banaras Hindu University) বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা করেন। গবেষণা করে তারা জানিয়ে দিয়েছেন যে গঙ্গা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনরকম আশঙ্কা নেই। গত দুই মাসের এই গবেষণার শেষে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে করোনা সংক্রমণের কারণ গঙ্গা নয়। আরটি পিসিয়ার পরীক্ষা করা হয়েছিল। যার মধ্যে অনেকের পজিটিভ ও নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে গঙ্গা (Ganga) থেকে সংগ্রহীত নমুনাগুলো কোনোটিতেই ভাইরাল আরএনএর কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গোমতী নদী থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলিতে ভাইরাল আরএনএর উপস্থিতি দেখা যায়। আসলে গত মে মাসে গঙ্গায় দেহ ভেসে ওঠার পর অনেকেই বলেছিলেন যে গঙ্গায় ভাইরাসের উপস্থিত থাকতে পারে। তাই করোনার সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে তদন্ত হয়। ১৫ মে থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারপর বারানসী থেকে প্রতি সপ্তাহে দুদিন ওই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে তাতে কোন ভাইরাল আরএনএর চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে লখনউয়ের গোমতী নদীতে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। এইজন্য দু'দফায় গোমতীর জলকে পরিশুদ্ধ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে এই নদীতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। তারপর ফাইড চলতি বছরের মে মাসে একইভাবে ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটি কিছুটা কমলেও গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের নিচে ঘোরাফেরা করছিল। তবে বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৪৫ হাজার ৮৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৮১৭ জনের। তবে এতে উদ্বেগের কোন কারণ নেই বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।