এবারে সম্ভবত রাজ্যে থাবা বসালো মাঙ্কি পক্স। সম্ভবত বাংলার প্রথম মাঙ্কি পক্স আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন কলকাতার একটি নামিদামি বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। ইউরোপ থেকে ফেরত ওই যুবকের দেহে মাঙ্কি পক্স আছে বলে মনে করছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। জন্মসূত্রে ওই যুবক ঘাটালের বাসিন্দা। ইউরোপ থেকে ফেরার পরেই তার দেহে মাঙ্কি পক্সের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। তার সঙ্গেই ছিল লাল ঘা ও চুলকানির মতো উপসর্গ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তার নমুনা সংগ্রহ করে পুনের একটি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে দিন কয়েক আগেই ইউরোপের একটি দেশ থেকে ফিরেছিলেন ওই যুবক। ইউরোপ থেকে ফেরার পরেই গায়ে ফুসকুড়ি জ্বালা এবং চুলকানির মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। ডাক্তারদের ধারণা তার দেহে মাঙ্কি পক্স সংক্রমণ হতে পারে। যদি রিপোর্ট পজেটিভ থাকে তাহলে এটাই হতে চলেছে বাংলার প্রথম মাঙ্কি পক্স পজিটিভ ঘটনা।
এরই মধ্যেই তার নমুনা পুনের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মাঙ্কি পক্সের যথাযথ পরীক্ষার জন্য। পাঠানো হয়েছে তার দেহের ফুস্কুড়ির রসের স্যাম্পেল। এই মুহূর্তে তাকে সম্পূর্ণ আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবন চন্দ্র হাজরা বলেছেন, "ওই যুবকের বাড়ি ঘাটালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বেশ কয়েকদিন আগেই গায়ে চুলকানি এবং ফুসকুড়ি নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। ডাক্তারদের ধারণা তিনি মাঙ্কি পক্সের দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন। তবে এখনই চিন্তার কোন কারণ নেই। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।"