ফের দেশে থাবা বসাচ্ছে করোনা। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কেরল, আর এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বাংলার নাম। গত ৬ জুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কমবেশি ৫০, আর একমাসের ব্যবধানে তা এসে ঠেকল দুহাজারের ঘর। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী তিনটি রাজ্য করোনার লাল সংকেত পেয়েছে, সেগুলো হল কেরল, পশ্চিমবঙ্গ এবং মিজোরাম। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবন রাজ্যের সমস্ত বড় সরকারি হাসপাতালের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক সেরে ফেলেছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানালেন, "করোনার একটি বিশেষ রূপের জন্যই গত কয়েক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই আমরা নতুন নির্দেশিকা জারি করেছি।"
প্রসঙ্গত, করোনা যদি ফের পূর্বাবস্থা ধারণ করে তবে আবারও বেশি সংখ্যায় শয্যার প্রয়োজন পড়তে পারে। আর সেইজন্যেই আগাম সতর্কতা জানিয়ে হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে। আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত মাসে ওই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড প্রায়শই ফাঁকা থাকত। তবে আজকের দিনে করোনা নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫ জন। কলকাতা এবং সল্টলেকে তিনটি শাখা থাকা এক বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য রয়েছে ৬১টি শয্যার মধ্যে ৫২ টা ভর্তি হয়েছে আজ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৮ জুন থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে গড়ে ৪১.৩১ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে কলকাতায়। হাওড়ায় এই হার ২১.১৯ শতাংশ। হুগলিতে ১৮.৯৫। এই তিন জেলা ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, দার্জিলিং, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কালিম্পং এবং বাঁকুড়ায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের উপরে। স্বাস্থ্যসচিব যদিও আশ্বাস দিয়ে জানাচ্ছেন, "বর্তমানে করোনার যে রূপ রয়েছে তা বেশি সংক্রামক হলেও ক্ষতি করার ক্ষমতা কম।"