করোনার (Covid-19) বিরুদ্ধে লড়ছে গোটা দেশ। কবে মিলবে করোনার থেকে রেহাই? আশা করে হচ্ছে, দেশের সমস্ত মানুষের দু’টি ডোজ সম্পূর্ণ হলেই মুক্তি মিলবে করোনার হাত থেকে! তবে এমনটা নাও হতে পারে। দরকার হতে পারে বুস্টার ডোজেরও! এমনই বলছেন এমস-এর অধ্যাপক সঞ্জীব সিংহ। এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের তরফে জানা গেছে, এমস-এর অধ্যাপক সঞ্জীব সিংহ বলেছেন, ভারত, আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশের রোগীদের নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে টিকার এই ধরনের ডোজের।
তবে এই বুস্টার ডোজটি কী? কীভাবেই বা এই ডোজ কাজ করবে শরীরে? বুস্টার ডোজ একটি নির্দিষ্ট উপায়ে কাজ করে, যাকে ইমিউনোলজিকাল মেমরি বলা হয়। আমাদের ইমিউন সিস্টেমটি এই ভ্যাকসিনকে মনে রাখে যে, ইতিমধ্যে শরীরে দেওয়া হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, ভ্যাকসিনের একটি ক্ষুদ্র ডোজ, যেমন বুস্টার ডোজ একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে অবিলম্বে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সতর্ক করে দেয় এবং এটি আরও ভাল প্রতিক্রিয়া দেখায়।
এ বিষয়ে আরও জানা গেছে, শরীরে কোনও একটি রোগের টিকা দেওয়া হলে, শরীর সেই রোগের জীবাণুটির অ্যান্টিবডি তৈরি করে নেয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অ্যান্টিবডিও দুর্বল হয়ে পড়ে। তখনই দরকার হয় বুস্টারের। তাই অধ্যাপক সঞ্জীব সিংহ বলেছেন, ভারতে ৫ মাস হল টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এই টিকা পর্যাপ্ত রোগপ্রতিরোধ শক্তি দিতে পারছে কি না, তা নিয়ে গবেষণা চলছে। সব দেশেই বিজ্ঞানীরা বুস্টার ডোজের কথা মাথায় রাখছেন। প্রয়োজন হলে সেই ডোজ দেওয়া হতে পারে।
ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জির (UNIA) পরিচালক বলেছেন, এক বছরের মধ্যে বুস্টার ডোজ (Booster Dose) প্রয়োজন হতে পারে। তিনি বলেছিলেন যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বুস্টার ডোজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ফাইজারের (Pfizer) সিইও অ্যালবার্ট বাউরলা (Albert Bourla) স্পষ্ট করে বলেন যে, আগামী ৮ থেকে ১২ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিনের একটি বুস্টার ডোজ প্রয়োজন হতে পারে। এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে ফাইজারও।