গত রবিবার টেলিকাস্ট হয়েছে 'সারেগামাপা ২০২০’ রিয়েলিটি শো-এর চূড়ান্ত পর্ব। যেখানে সেরার সেরা হয়েছেন অর্কদীপ মিশ্র। আর এরপরেই প্রতিবছরের তুলনায় এ বছরে জনসাধারণের মধ্যে বেশি পরিমাণে ক্ষোভ উপছে উঠেছে। অনেকেই বলছেন, টাকা দিয়ে ‘সেরা’র সম্মান কিনেছেন অর্কদীপ, এমনই অভিযোগ ওঠে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে। নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই বলতে থাকেন, 'বিচারকেরা টাকা খেয়ে বিচার করেছেন’। মূলত এসব কথার তীর বেশিরভাগ সময় জয় সরকারের দিকেই ছিল। কাজেই পাল্টা উত্তর দিলেন, স্ত্রী লোপামুদ্রা মিত্র। তাঁর সাফ জবাব ছিল, "গত ২০ বছর আমি জয় সরকারের মতো একজন আদ্যপান্ত গানবাজনা প্রেমিক মানুষের সঙ্গে থাকি। তাঁকে চিনি হাড়ে-মজ্জায়।"
পাওয়া গেল দু’হাজার বছরের পুরনো দেহাবশেষ
দু'শো মহিলার উদ্যোগে জলসংকটের সুরাহা বুন্দেলখণ্ডে
আপনাদের সব বিষয়েই এত বক্তব্য কেন? বার্তা ইমনের
তবে লোপামুদ্রার কথায় হল না, বরং আরও বেড়ে গেল বিচারক জয়কে আরও আক্রমণ করা। তবে আর শান্ত থাকতে পারলেন না জয় সরকার। মঙ্গলবার নিজের নেটমাধ্যমের পাতায় এসে সরাসরি দর্শক-শ্রোতাদের সব অভিযোগের জবাব দিয়ে জয় বললেন, "শো-এর শুরু থেকে ট্রোলিং শুরু হয়েছিল। সেই ট্রোলিংয়ের গ্র্যান্ড ফিনালে উদযাপিত হল সোমবার।"
উল্লেখ্য, রবিবার চূড়ান্ত পর্ব শেষ হতেই অর্কদীপের জয় মানতে নারাজ ছিল অনেকেই। অধিকাংশের মত, নীহারিকা সব ধরনের গান গাইত। তবু জিতল না। এদিকে শুধুমাত্র একই ধাঁচের গান গেয়ে অর্কদীপ জিতে গেল। ওদিকে অতটুকু মেয়ে অনুষ্কা বারংবার গোল্ডেন গিটার পেয়েও জিততে পারেনি। এই দুঃখই মানতে পারছেন না অধিকাংশ দর্শক। তবে তাঁদের অধিকাংশেরই ক্ষোভ অর্কদীপ কিংবা অর্কদীপের গানকে নিয়ে নয়।
তবে বহুজন বলেছেন, আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। তাই অনুষ্কা, নীহারিকা, বিদীপ্তা, জ্যোতির মতো প্রতিযোগীকে ছাপিয়ে গিয়েছেন অর্কদীপ। ওঁর এই সম্মান পাওয়ার যোগ্যতাই নেই। আবার নেটমাধ্যমে সরাসরি লেখা হচ্ছে, জয় প্রতিযোগীদের থেকে ঘুষ নিয়েছেন। গান-বাজনা না শিখেই বিচারক হয়েছেন। তাই অর্কদীপের মতো শুধু লোকগানের শিল্পী সেরার শিরোপা পেলেন।
এরপরেই জয়ের ফের মন্তব্য, ‘‘গানকে প্রচণ্ড ভালবাসলে তবে এই অনুভূতি আসে। এবং সেই অনুভূতির জোয়ারে ভেসে তাৎক্ষণিক কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও চলে আসে। যেটি সোমবার থেকে নেটমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। দর্শক-শ্রোতাদের এই ‘ভালবাসার ভর্ৎসনা’-কে আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। প্রয়াত আলি আকবর খাঁ-ও এক সময় বলেছিলেন সঙ্গীত সমুদ্রের মতো। এক জীবনে তাকে জানা অসম্ভব।’’ এরপরেই জয়ের সাফ বক্তব্য, তিনি নিজে অতিসাধারণ। তাই তাঁর পক্ষে মাত্র ৩০ বছরে গান-বাজনাকে জানা সম্ভব নয়।
এরপরেই জয় আরও বলেন, "বহু নামী শিল্পী বিচারকের আসন অলঙ্কৃত করেছি। তাঁরা কিন্তু আমার এই বিশেষ ভূমিকা পালন করেননি। এত দিন নীরবে কাজ করে এসেছি। মনে করেছি, এ ভাবেই ওঁদের পাশে থাকা উচিত। এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় বিষয়টা জানাতে বাধ্য হলাম। মার্গসঙ্গীতের পরেই লোকগানের স্থান। এই ধারার গানে এত বৈচিত্র্য, যে এই ঘরানার শিল্পীদের আর অন্য কোনও দিকে যেতে হয় না। অর্কদীপ তাই লোকগান গেয়েই খুশি।’’