জামিন পেয়েছিলেন কালকেই। তবে সময় মতো কাগজপত্রের কাজ হতে না পারায় আরও একটা দিন জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই থেকে যেতে হয়েছিল শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে। অবশেষে আজ ছাড়া পেলেন তিনি। প্রায় ২৭ দিন আর্থার রোড জেলে থাকার পর অবশেষে ‘মান্নাত’ পূরণ শাহরুখ-গৌরীর। শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘরের ছেলে ফিরলেন ঘরে।
আরিয়ান মান্নাতে পৌঁছানো মাত্রই তাঁকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় সমর্থকদের উল্লাস। বিপুল পরিমানে অনুরাগী জড়ো হন মান্নাতের দরজায়। ঢোল-তাসা বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় শাহরুখ পুত্রকে। ফাটানো হয় আতসবাজি। এমনকি শাহরুখের বাড়ির বাইরে হনুমান চালিশা পর্যন্ত পাঠ করতে দেথা যায় পুরোহিতকে। সব মিলিয়ে বলাই যায়, বর্তমানে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে মান্নাত।
তবে এখানেই শেষ নয়, ছেলের ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন মা গৌরী খান। ছেলে জেলে থাকাকালীন বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন শাহরুখ-গৌরী। একাধিক বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন তাঁরা। বাড়িতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মিষ্টি-পায়েস বানানো। ব্রত থেকে উপবাস, কিছুই বাকি রাখেননি গৌরী। তাই ছেলে অবশেষে ঘরে ফিরতে তাকে কার্যত আঁচলে বেঁধে নিয়েছেন তিনি। আরিয়ানের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন রুটিন। তাতে যেমন রয়েছে প্রতি শুক্রবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত এনসিবি অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা, তেমনই রয়েছে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে কাউন্সিলিংযের সময়সূচী।
জানা গেছে, এখন থেকে নিয়মিত রক্তপরীক্ষা হবে আরিয়ানের। দেখা হবে তাঁর শরীরে পুষ্টিমাত্রা। সেই অনুযায়ী করা হবে তাঁর ডায়েট প্ল্যান। শুধু তাই নয়, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে কাউন্সিলিং সেশনে পাঠানোরও ব্যবস্থা নিচ্ছেন আরিয়ানের বাবা-মা। যা দেখে স্পষ্ট, ছেলেকে ফিরে পেয়ে তার আদরযত্নে এতটুকু খামতি রাখতে চান না এই সেলেব্রিটি দম্পতি।