বঙ্গের নির্বাচনের মাত্র দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো বাংলার টলি দুনিয়া। "আমাদের দেশ ভারতবর্ষ, ঐতিহ্য, বৈচিত্র্য এবং ভালোবাসার দেশ। ভারতবর্ষ সকলকে নিয়ে চলার দেশ। সৌহার্দ্যের, শান্তির এবং বন্ধুত্ববাদের বাংলা। এখানে কেউ মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করতে এলে তার বিরুদ্ধে বাঙালি হিসেবে ভারতীয় হিসেবে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা ঘৃণার চোখে চোখ রেখে বলবো, এদেশ তোমার নয়, এদেশ ভালোবাসার।" - এই স্লোগান নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী-কে সাক্ষী রেখে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করে দিলেন রুপোলি পর্দার একাধিক শিল্পীরা।
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল গানটিকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ
আমি অন্য কোথাও যাব না, আমি এই দেশেতেই থাকব, অনির্বাণের গানে পাল্টা সরব বাবুল
ব্যস্ত সময়, ব্যস্ততর যুগ, ব্যস্ততম যুব সমাজ... ছুঁটে চলেছে লক্ষ্যহীন, দিকভ্রান্ত হয়ে। আত্মকেন্দ্রিক হচ্ছে, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে। এই "বিষ-ময়" সময়েও যিনি আশ্রয়, পথপ্রদর্শক, তিনি হলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর বাণী, তাঁর আদর্শই হোক আমাদের যুব সমাজের ঐক্য সঙ্গীত।
টলিদুনিয়ার একাধিক তারকারা জোটবদ্ধ হয়ে নিয়ে এলেন বাংলার মানুষের জন্য একটি গান, সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। গানটির কথা টলি অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের লেখা। কেন্দ্রীয় সরকার তথা ভারতীয় জনতা পার্টির একের পর এক রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন এ রাজ্যের টলি তারকারা। এই তালিকায় ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য নিজে, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, উজান চ্যাটার্জী, ঋতব্রত মুখার্জি, সুরঙ্গনা বন্দোপাধ্যায়, শম্পা বিশ্বাস, দেবরাজ ভট্টাচার্য, রূপঙ্কর বাগচী, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, অর্ক মুখোপাধ্যায়, শুভদীপ গুহ।
এছাড়াও আমরা দেখতে পেলাম রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, অরুণ মুখোপাধ্যায়, সুমন মুখোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, রাহুল, অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দন সেন, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত মুখোপাধ্যায়, রেশমি সেন, পিয়া চক্রবর্তী এবং সানোরিতা গারুকে। বিজেপির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সরব হয়ে বাংলার টলি সমাজ এই নতুন ভিডিও নিয়ে এলো। গানের মূল ভাবনা - 'নিজেদের মতে নিজেদের গান।' অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলছেন, "কাদের তৈরি নিয়ম? কারা বলছে না তাকাতে? কারা আমাদের দেশটাকে সুচতুরভাবে নিয়ে চলেছে ধ্বংসের দিকে... তাদের তৈরি করা অমানবিক, অগণতান্ত্রিক নিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের এই গান - নিজেদের মতে, নিজেদের গান। আমাদের সুর ভাবনা ছড়িয়ে পড়ুক পথ থেকে পথে, বুক থেকে বুকে।" ছোট্ট স্লোগান দিলেন -
"তাসের দেশে হেঁকে বলছে, চলো নিয়ম মতে। দূরে তাকিও না কো, ঘাড় বাঁকিয় নাকো, চলো সমান পথে, চলো নিয়ম মতে।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলায় একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিকবার সরব হয়ে উঠেছেন টলিপাড়ার কলাকুশলীরা। বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিকবার আওয়াজ তুলতে শোনা গেছে এই বুদ্ধিজীবীদের। ধর্মতলার ক্রসিংয়ে একবার বিজেপির স্বেচ্ছাচারিতা এবং তাদের দুর্নীতি নিয়ে একটি সভা করেছিলেন সেই সভায় অংশ নিয়েছিলেন একাধিক টলি তারকা। মঞ্চে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি এবং নুসরত, দেবলীনা, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন সহ আরো অনেকেই। তারা ওই মঞ্চ থেকে সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তোলার। এই গানটি এই বড় আন্দোলনেরই একটি ছোট্ট ঝলক হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।