গত ৪ঠা অগাস্ট বনানীর (Bangladesh, Banani) বাড়ি থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা পরীমণিকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন। অভিযোগ ছিল, বাড়িতে নিষিদ্ধ মাদক রেখেছিলেন অভিনেত্রী।
তার জেরে পরীমণিকে বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর গত ৫ অগাস্ট তাঁকে আদালতে তোলা হলে চার দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর ১০ অগাস্ট ফের মেয়াদ বৃদ্ধি হয় জেল হেফাজতের। আর এর মাঝেই নানান বিতর্কের সৃষ্টি হতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার একেবারে ট্রেন্ডিংয়েই উঠে আসেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ অর্থাৎ ভারতেও চলে আসে পরীমণির জেল হেফাজতের খবর।
তবে অবশেষে গ্রেফতারির ২৬ দিনের মাথায় আজ অর্থাৎ ৩১ অগাস্ট জামিন পেলেন অভিনেত্রী। এদিন বিকেলে জামিন পান তিনি। এ বিষয়ে অভিনেত্রী মুখ না খুললেও, সংবাদমাধ্যমের সামনে সবটা প্রকাশ করেছেন পরীমণির আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, গত সোমবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর মুক্তির দাবি জানায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। এই সমিতি, পরীমণির সদস্যপদ বাতিল করেছিল গ্রেফতার হওয়ার পরের দিনই। আর তারাই মুক্তির দাবি জানায়। কারণ তাঁদের বক্তব্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জানতে পারে পরীমণি নিরাপরাধ।
অন্যদিকে, পরীমণির তৃতীয় দফার হেফাজত শেষ হয়েছিল শনিবার। ওই দিন দুপুরে আদালতে তোলা হয় তাঁকে। শনিবারেও তাঁর জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কার্যত ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী।