কথায় বলে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। এই কথাটি আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন বিহারের একজন বিচারাধীন কারাবন্দি, যিনি এবছরের আইআইটি জ্যাম (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির মতো প্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, খুনের আসামি ওই যুবক সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় ৫৪ তম স্থান অধিকার করেছে। এই ক্রমতালিকা অনুযায়ী দেখতে গেলে বিহারের ওই ছেলেটির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি রুরকিতে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা করতে পারবে। সে জানিয়েছে, তার স্বপ্ন বিজ্ঞানী হওয়ার
বিচারাধীন বন্দী ওই যুবকের নাম সুরাজ কুমার ওরফে কৌশলেন্দ্র। তিনি বিহারের নওদা জেলার ওয়ারিশলিগঞ্জ থানা এলাকার অন্তর্গত মোসমা গ্রামের বাসিন্দা। একটি খুনের মামলার অভিযোগে প্রায় এক বছর ধরে মন্ডল কারা নওদা জেল হেফাজতে বন্দি রয়েছেন ওই যুবক। জানা যাচ্ছে কারাবাসে বন্দি থাকাকালীন অবস্থাতেই তিনি আইআইটি জ্যাম পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই প্রস্তুতির সময় জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন তাকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। কারাগারের প্রাক্তন সুপার অভিষেক কুমার পান্ডে এবং তার ভাই বীরেন্দ্র কুমারকে তার এই সাফল্যের কথা জানিয়েছে সুরাজ। তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার ফসল হিসেবেই তিনি দুর্দান্ত ফলাফল করেছেন ভারতের সবথেকে কঠিন কিছু পরীক্ষার মধ্যে একটিতে।
যারা যায়, ২০২১ সালে রাস্তার বিবাদ নিয়ে তাদের দুই পরিবারের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছিল। সঞ্জয় যাদব নামের এক ব্যক্তি ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাকে পাটনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খুনের মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত হন সুরাজ। এফআইআর-এ সুরাজ কুমার এবং তার বাবাসহ মোট ৯ জনের নাম উল্লেখ ছিল। ১৯ এপ্রিল, ওই ৯ জনের মধ্য থেকে সুরাজ কুমারসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর সেখান থেকেই তার জীবনের নতুন যাত্রা শুরু।