গতিময়তার যুগে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে প্রত্যেকটি মানুষকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। বিভিন্ন ধরনের কঠিন কঠিন এন্ট্রান্স পরীক্ষা পরিচালিত হয় আমাদের দেশে। তারই মধ্যে অন্যতম একটি হল ইউপিএসসি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় প্রত্যেক বছর দেশের লাখ লাখ পড়ুয়া অংশগ্রহণ করে। কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে সাফল্য অর্জন করে খুব কমজনই। অনেকেই এই সমস্ত এন্ট্রান্স পরীক্ষার ব্যর্থতা ভুলতে না পেরে জীবনের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যায়। কিন্তু ব্যর্থতায় যে সাফল্যের চাবিকাঠি তা প্রমাণ করেছেন কর্নাটকের বাসিন্দা রাহুল শঙ্কানুর। সে তাঁর স্বপ্নের ইউপিএসসি পরীক্ষাতে ৪ বার ব্যর্থ হলেও হাল ছেড়ে দেননি। অবশেষে ৫ নম্বর সময় পরীক্ষা দিয়ে ভারতের মধ্যে ১৭ তম স্থান অধিকার করেছে সে। আজকের এই প্রতিবেদনে তাঁর হার না মানা, অনুপ্রেরণামূলক জীবন কাহিনী জানাবো আপনাদের।
কর্নাটক রাজ্যের হুবলি শহরে বসবাসকারী রাহুলের ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল ইউপিএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ করা। সে ইঞ্জিনিয়ারিং করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে লোভনীয় চাকরি পেলেও তাঁর মন ইউপিএসসির দিকেই ছিল। তাই মোটা বেতনের চাকরি ২ বছর বাদে ছেড়ে দিয়ে সে ইউপিএসসি পরীক্ষার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। প্রথমে ৪ বার ব্যর্থ হলেও হার মেনে নেয়নি রাহুল। তাঁর যাত্রাপথ ছিল অত্যন্ত কঠিন। বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁকে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে শত সমালোচনা রাহুলের স্বপ্ন দেখাকে থামিয়ে দিতে পারেনি।
চলতি বছরে রাহুল শঙ্কানুর তাঁর পঞ্চম এবং শেষ ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে সাফল্য পেয়েছে। অবশ্য শুধুমাত্র সাফল্য পেয়েছে কথাটি বলা একদমই ভুল হয়ে যাবে। সকলকে অবাক করে দিয়ে রাহুল পরীক্ষাতে ১৭ তম স্থান অর্জন করে নিয়েছে। হয়তো রাহুলের এই জীবনযাত্রার অপর নাম "সাফল্য"। সম্প্রতি রাহুল ইউপিএসসি পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, "ব্যর্থ হলেই অনেকে আপনার স্বপ্নকে নিয়ে সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু তখন নিজের লক্ষ্যকে ভুলে যাওয়া চলবে না। নেতিবাচকতা এবং নেতিবাচক মানুষের থেকে দূরে থাকতে হবে।"