৫+৩+৩+৪ যদিও যোগফল টা ১৫ তবু স্ট্রাকচার টা কেমন একটা ফুটবল মাঠের স্ট্র্যাটেজির মতো। প্রথমে ডিফেন্স তারপর একটু মিডফিল্ডে গুছিয়ে নিয়ে অ্যাটাক। তেমনই যেন ছাত্র ছাত্রীদের ৩ বছর বয়স থেকে স্কুলের মধ্যে এনে তাদের ভিতটা মজবুত করার চেষ্টা। তবু এই ৫+৩+৩+৪ বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশায় প্রায় সকলেই। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কের বয়ান অনুযায়ী ক্লাস ওয়ানের আগে তিন বছর খরচ হবে একজন শিক্ষার্থীর ভীত তৈরির কাজে। আর ওই তিন বছর আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী মিলিয়ে পাঁচ বছরের একটা প্যাক।
দ্বিতীয় পর্যায়ে তৃতীয় থেকে পঞ্চম পর্যন্ত ৩ বছর, তারপর ষষ্ঠ সপ্তম ও অষ্টম মিলিয়ে ৩ বছর। মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক একসাথে মিলে নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ৪ বছরের একটা প্যাকেজ। তাহলে আমাদের সেই অতি প্রাচীন সেকেলে ১০+২ কাঠামোয় পড়াশোনার দিন শেষ। কিন্তু প্রশ্ন, এই নতুন পদ্ধতি রূপায়িত হবে কবে থেকে? যেদিনই হোক সেদিন কি পুরো ১০+২ কাঠামো ফেলে ৫+৩+৩+৪ চেপে বসবে নাকি প্রতি বছর যাদের বয়স ৩ তাদের নিয়ে শুরু হবে একটা করে নতুন শিক্ষাবর্ষ যেটা এই নতুন কাঠামোয়? আর যারা পুরোনো কাঠামোয় পড়ছে তারা সেটাই পড়বে? কোনো কিছুরই কোনো স্বচ্ছ উত্তর পাওয়া যায়নি এখনও। আর এই পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রথম ৮ বছর (৫+৩) হতে চলেছে মাতৃভাষায়। তারপর প্রধানত ইংরেজিতে।
আরও চমকের বিষয়, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এতদিন চলে আসা সাইন্স আর্টস কমার্সের বিভেদ উঠে গেল। এখন সবাই পড়বে সবটা। এখানে প্রশ্ন, তাহলে মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার বা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জাতীয় বিশেষ ক্ষেত্রগুলি পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে কীভাবে? মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক নিশ্চই এর উত্তর পরিষ্কার করে দেবেন।
তবে হ্যাঁ, বেসরকারি স্কুল গুলির মতো এইবার সরকারি স্কুলেও ৩বছর বয়স থেকে শিশুদের মন তৈরির একটা উদ্যোগ যেন দেখা যাচ্ছে এই নতুন মডেলে।