পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন ৫ লক্ষেরও বেশি গৃহশিক্ষক৷ স্কুল–কলেজের পড়াশোনায় ঘাটতি দূর করতে এতদিন এঁরাই ছিলেন ছাত্রছাত্রীদের সহায়৷ করোনা অতিমারিতে স্কুল–কলেজ এবং পরীক্ষা বন্ধ৷ সরকার ঘোষণা করেছে, সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে৷ এই অবস্থায় গৃহশিক্ষকরা রুটি–রুজি হারিয়ে চরম সংকটে৷ পেট চালাতে তাঁদের কেউ করছেন দিনমজুরি, কেউ বা বেচছেন মাছ–সবজি৷ অর্জিত ডিগ্রি তথা উচ্চশিক্ষার দাম পাওয়া দূরের কথা, জীবন কাটানোই দুষ্কর হয়ে উঠছে অনেকের৷ সরকারেরও কোনও হেলদোল নেই৷ সম্প্রতি প্রবল আর্থিক কষ্টে বীরভূমে আত্মঘাতী হয়েছেন এক গৃহশিক্ষক৷
এদিকে বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও স্কুলশিক্ষকদের একটা অংশ দেদার টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন৷ স্কুলে না গিয়েই প্রতি মাসে তাঁদের ঘরে আসে বেতনের টাকা৷ এর ওপরেও অনলাইনে বা সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে মোটা টাকা আয় করছেন তাঁরা৷
সম্প্রতি স্কুলশিক্ষকদের একটি অংশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে৷ নড়ে বসেছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন৷ তারা রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে৷ রাজ্য সরকার সক্রিয় হয়ে গৃহশিক্ষকদের সহায়তায় এগিয়ে আসে কি না সেটাই এখন দেখার৷