রাজ্য সরকারের নির্দেশে আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। করোনাকালে সর্তকতামূলক পদক্ষেপগুলি অবশ্য পালনীয়, সেকথা মাথায় রেখেই বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দফতর। একনজরে দেখে নিন কি কি বলা হয়েছে তাতে,
••পঠনপাঠনের জন্য বিদ্যালয়ে দুটি শিফট রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ সকাল ও দুপুর দুভাগে ভাগ করে পড়ানো যেতে পারে। তাতে একসাথে অনেক ছাত্রছাত্রীর জমায়েত এড়ানো যাবে।
••স্কুলে ক্লাস শুরুর আগে অন্তত দশ মিনিট পড়ুয়াদের সচেতনতার পাঠ দেবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
••প্রতি বেঞ্চে মাত্র একজন করে পড়ুয়া বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
••ক্লাস শুরুর আগে হুড়োহুড়ি এড়াতে প্রবেশের নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে থেকেই স্কুলের দরজা খোলা রাখা হবে।
••মাস্ক ও স্যানিটাইজার সাথে আনা বাধ্যতামূলক।
••নিজের বই, পেন, টিফিন ও অন্যান্য কোনো সামগ্রীই বন্ধুর সাথে শেয়ার না করাই ভালো।
••মিড-ডে মিল এখনই চালু করা হবেনা।
••গ্রন্থাগার, ল্যাবরেটরি, ক্লাসঘর এবং হস্টেলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
••গয়নাগাটি পরে স্কুলে আসা যাবেনা।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে আছে, প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রোজ স্কুলবাড়ি, ল্যাবরেটরি, শৌচালয়, গ্রন্থাগার জীবাণুমুক্ত করতে হবে। স্কুলে রাখতে হবে পর্যাপ্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজার। স্কুলের প্রতিদিনের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখার জন্য বিশেষ কমিটি তৈরি করতে হবে। আইসোলেশনের জন্য আলাদা রুম রাখতে হবে। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ার জন্যই খোলা হচ্ছে স্কুল। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সব ছাত্রছাত্রীদেরকেই আসতে বলা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্টেল খোলা যাবে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা যাতে রেলকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট স্পেশাল বা বিশেষ ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন, তার জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই স্পেশাল পাসের ব্যবস্থা করতে হবে। সব দিক থেকে আগাম প্রস্তুতির জন্য ১ নভেম্বর থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়।