করোনার (Corona Pandemic) দ্বিতীয় ঢেউ-এ আক্রান্ত ভারত সহ গোটা দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১,৬৮,৯১২ জন। মারা গিয়েছেন ৯০২ জন। দেশে করোনা আক্রান্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১২,০১,০০৯ জন। এর মাঝেই উদ্বেগের বিশেষ কারণগুলির মধ্যেই অন্যতম, বোর্ড পরীক্ষা। গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ-এ স্থগিত হয়েছিল বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা, শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে যাওয়ার ভয়ে পরেও সে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। বর্তমানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা অনলাইনেই হচ্ছে।
তাই করোনা নতুন করে মাথাচাড়া দিতেই, আসন্ন বোর্ড পরীক্ষার্থীরা বেজায় উদ্বিগ্ন। আর সেই মতোনই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা যাতে অনলাইনে নয়, সে কারণেই পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশ গণমেইল করেন, চিঠিও যায় বোর্ডে। যাতে পূর্ণ সমর্থন ছিল শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের। তবে পরীক্ষার্থীদের এই দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। তাঁদের আবেদন খারিজ করে, স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত তো দূরের কথা, অনলাইনেও নয় বরং অফলাইনেই নিয়ম মেনে হবে। যদিও বোর্ডের তরফে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের চিন্তা না করতে, কারণ সমস্ত কোভিড বিধি মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এখানেই শেষ নয় সিবিএসই বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন, "সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য আমার তরফ থেকে অসংখ্য শুভকামনা। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি তোমরা গতবছরের চেয়েও এ বছর ভালো রেজাল্ট এনে দেবে বোর্ডকে। কারণ তোমরা বাড়িতে পড়ার অনেকটা সময় পেয়েছ। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, বোর্ড কর্তৃক পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৫০০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০০ করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলি জুড়ে কঠোর কোভিড প্রোটোকল বজায় রাখা হবে। চিকিৎসকরাও থাকবেন। সমস্ত কোভিড বিধি মেনেই সময় মতোন পরীক্ষা নেওয়া হবে।"
এরপরেই কার্যত দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন নিয়ে ঝুঁকি না নেওয়ার অনুরোধ করে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, “রোজ এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আমাদের কর্তব্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা। দয়া করে সেটা করুন। পরিস্থিতি চিন্তা করে পরীক্ষা বাতিল করুন।”